পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ‘নির্লজ্জ’ হস্তক্ষেপের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে রাশিয়া। একই সঙ্গে দেশটি বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র ‘অবাধ্য’ ইমরান খানকে শাস্তি দিতে চেয়েছিল।
মঙ্গলবার (০৫ এপ্রিল) পাকিস্তানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ডন এ খবর জানায়। এর আগে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা এ বিষয়ে বিবৃতি দেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, রাশিয়া লক্ষ্য করেছে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ড. আরিফ আলভি ৩ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ ও আগের ঘটনার অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে সংসদ ভেঙে দিয়েছেন।
মারিয়া জাখারোভা বলেন, গত ২৩-২৪ ফেব্রুয়ারি ইমরানের মস্কো সফরের ঘোষণার পরপরই যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের পশ্চিমা মিত্ররা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর ওপর অশোভনীয় চাপ সৃষ্টি করতে শুরু করে।
সফরটি বাতিল করার দাবিও জানিয়েছিল তারা। যদিও তা প্রত্যাখান করা হয়।
স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে মারিয়া বলেন, গত ৭ মার্চ পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত আসাদ মজিদের সঙ্গে এক কথোপকথনে উচ্চপদস্থ মার্কিন কর্মকর্তা (সম্ভবত ডোনাল্ড লু) ইউক্রেনের ঘটনায় পাকিস্তানি নেতৃত্বের ভারসাম্যপূর্ণ প্রতিক্রিয়ার তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি এটা স্পষ্ট করে দেন যে ইমরানকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিলেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অংশীদারত্ব সম্ভব।
রুশ কর্মকর্তা মনে করেন, এসব বিবেচনায় ইমরানকে শাস্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র, যা একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ‘নির্লজ্জ হস্তক্ষেপের’ আরেকটি প্রয়াস।
ইউআর/