এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আরও দীর্ঘায়িত হলে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম আরও বাড়বে। এর প্রভাবে দেশে পরিবহণের ভাড়া ও কৃষি উৎপাদন খরচ বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।
বুধবার জাতীয় সংসদে সংসদ সদস্য শফিউল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপন করা হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গত নয় বছরের মধ্যে ব্যারেল প্রতি তেলের দাম এখন সর্বোচ্চ। বাংলাদেশ বর্তমানে প্রতি বছর ৫০ লাখ টন ডিজেল, ১৩ লাখ অপরিশোধিত তেল, দুই লাখ টন ফার্নেস অয়েল এবং ১ লাখ ২০ হাজার টন অকটেন আমদনি করে। এখন যে দামে জ্বালানি তেল কিনে বাংলাদেশ নিজেদের বাজারে বিক্রি করছে, তাতে প্রতিদিন ১৫ কোটি ডলারের বেশি লোকসান গুনতে হচ্ছে।
জ্বালানির আন্তর্জাতিক বাজার আগে থেকেই ঊর্ধ্বমুখী ছিল, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ তা আরো অস্থির করে তুলেছে। চড়া বাজারের উত্তাপ টের পাচ্ছে বাংলাদেশের মত আমদানিনির্ভর দেশগুলো।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বিপিসি জানিয়েছিলেন, দাম বেড়ে যাওয়ায় তখন তাদের শুধু ডিজেলেই দৈনিক ১৩ কোটি টাকার মতো লোকসান হচ্ছে। এখনই জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর কথা ‘ভাবছে না’ সরকার।
সংসদে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে খুব বেশি গম আমদনি না করলেও বৈশ্বিক বাজার পরিস্থিতির কারণে সরবরাহ প্রভাবিত হবে। যুদ্ধ অব্যাহত থাকলে পণ্যবাহী জাহাজের ভাড়া ও বীমা মাশুল বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।