পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের আগে তিনি পদত্যাগ করবেন না। ২০১৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর টিকে থাকার জন্য অনাস্থা ভোটে তাকে কঠিন চ্যালেঞ্জে পড়তে হবে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এখবর জানিয়েছে।
শুক্রবার পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্ন কক্ষে অনাস্থা ভোটের প্রক্রিয়া শুরু হবে। ইমরান ভোটে হেরে গেলে তাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে সাত দিনের মতো সময় লাগতে পারে।
অনাস্থা ভোটকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানে সাংবিধানিক, প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিতে পারে।
এই মাসের শুরুতে পাকিস্তানের বিরোধী দলগুলো অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব উত্থাপন করে। তাদের দাবি, সাবেক এই ক্রিকেটার পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। তার দলের ২০ জন আইনপ্রণেতা দল ত্যাগ করার পর বিরোধীরা এই প্রস্তাব আনে।
বুধবার এক বিবৃতিতে ইমরান খান বলেন, যাই ঘটুক না কেন আমি পদত্যাগ করব না। লড়াই ছাড়া হাল ছেড়ে দেব না। কয়েকজন ‘অসৎ লোকের’ চাপে আমি কেন পদত্যাগ করব।
দল ত্যাগের পর ইমরান খানের ক্ষমতাসীন জোটের প্রায় ২০জন আইনপ্রণেতা ইঙ্গিত দিয়েছেন তারা বিরোধী শিবিরে যোগ দিতে পারেন। দল ত্যাগের পর সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখতে ১৭২ সাংসদের সমর্থন তার নেই। ১৬৩ আসন থাকা বিরোধী শিবিরে দলত্যাগীরা যোগ দিলে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারবে।
কয়েকজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলছেন, পাকিস্তানের প্রভাবশালী সেনাবাহিনীর সুনজর থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়েছেন ইমরান খান। কয়েক দশক ধরে দেশটির বেসামরিক রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করে আসছে তারা। চার বছর আগের নির্বাচনে ইমরানের দলকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য সেনাবাহিনীর ভূমিকা রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
তবে ইমরান তাকে ক্ষমতায় বসাতে সেনাবাহিনীর সহযোগিতার কথা অস্বীকার করেছেন। আর সেনাবাহিনী জানিয়েছে তারা রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করে না।
ইউআর/