রয়টার্সের ‘হট লিস্ট’-এ বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ড. সালিমুল হক

যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম রয়টার্সের শীর্ষ তালিকা ‘হট লিস্ট’-এ স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশি জলবায়ু বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. সালিমুল হক। একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে তালিকার ২০৮তম স্থান দখল করেছেন তিনি।

বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী জলবায়ু বিজ্ঞানীদের নিয়ে এ তালিকা প্রকাশ করে রয়টার্স। সেই তালিকাতেই স্থান পেয়েছেন এই বাংলাদেশি বিজ্ঞানী। তাদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তন ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে অধ্যাপক ড. সালিমুল হক ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিসরূপ এ তালিকায় স্থান পেয়েছেন তিনি।

জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে বিশ্বের সবচেয়ে দুর্বল উন্নয়নশীল দেশগুলোর খাপ খাইয়ে নিতে বিশেষজ্ঞ এবং জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত আন্তঃসরকারি প্যানেলের (আইপিসিসি) তৃতীয়, চতুর্থ এবং পঞ্চম মূল্যায়ন রিপোর্টের অন্যতম প্রধান লেখক অধ্যাপক ড. সালিমুল হক। ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইসিসিসিএডি) পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। এছাড়াও রাজধানীর ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (আইইউবি) বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনার সঙ্গেও যুক্ত রয়েছেন। এছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে জাতিসংঘের ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশনের (ইউএনএফসিসি) স্বল্পোন্নত দেশসমূহকেও পরামর্শও দেন তিনি।

সম্প্রতি ড. সালিমুল হকের নেতৃত্বে আইইউবির অন্তর্ভুক্ত গবেষণা প্রতিষ্ঠান, ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট, নরওয়ের উচ্চশিক্ষা কার্যক্রমের অধীনে নরওয়েজিয়ান ইউনিভার্সিটি অব লাইফ সায়েন্সেস, নেপালের পোখড়া ইউনিভার্সিটি, মোজাম্বিকের অ্যাডুয়ার্ডো মন্ডলেন ইউনিভার্সিটি এবং উগান্ডার ম্যাকেরে ইউনিভার্সিটির সঙ্গে যৌথভাবে ‘স্থানীয়পর্যায়ে জলবায়ু পরিবর্তন ও উন্নয়নে যৌথ জ্ঞান সৃষ্টি’ শীর্ষক ৬ বছর মেয়াদি গুরুত্বপূর্ণ এক গবেষণা প্রকল্প অর্জন করেছে। নোরাডের সহায়তায় বিশ্বের স্বল্পোন্নত দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কনসোর্টিয়ামের অধীনে ৪৭টি দেশে এই প্রকল্প রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি হিসেবে বিবেচিত। আইইউবি এই কনসোর্টিয়ামের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য তিনি।

‘হট লিস্ট’ খ্যাত এ তালিকায় বিশ্বের এক হাজার প্রভাবশালী বিজ্ঞানীর নাম প্রকাশ করে রয়টার্স। এই তালিকা মূলত তিনটি র‌্যাঙ্কিংয়ের সমন্বয়। জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত কতগুলো গবেষণামূলক কাগজপত্র প্রকাশিত হয়েছে, জীব বিজ্ঞান, রসায়ন বা পদার্থবিজ্ঞানের মতো গবেষণার একই ক্ষেত্রগুলোতে অন্যান্য বিজ্ঞানীরা কতবার এই কাগজপত্রগুলো উদ্ধৃত করেছেন এবং এই কাগজপত্রগুলো লে-প্রেস, সোশ্যাল মিডিয়া, নীতিপত্র এবং অন্যান্য আউটলেটগুলোতে কতটা স্থান পেয়েছে তার সমন্বয়েই এই তালিকা সাজানো হয়।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ

- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরও

- Advertisement -spot_img