চট্টগ্রাম নগরীর মুরাদপুরে ড্রেনে পড়ে নিখোঁজ সালেহ আহমেদ ও আগ্রাবাদ মাজার গেট এলাকায় ড্রেনে পড়ে নিখোঁজ কলেজছাত্রী সাদিয়ার (১৯) পরিবারকে কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. আব্দুল হালিম ও অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান এই লিগ্যাল নোটিশ পাঠান।
মঙ্গলবার সংশ্লিষ্টদের প্রতি এই লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্যারিস্টার মো. আব্দুল হালিম।
চলতি বছর বর্ষার শুরু থেকে এই পর্যন্ত ড্রেনে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচজন। আর গত এক মাসেই মারা গেছেন তিনজন। এর মধ্যে দুইজন নারী ও তিনজন পুরুষ।
বারবার একই ঘটনা ঘটলেও নগরবাসীকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়ে দায় সারছেন চট্টগ্রাম সিটি কপোর্রেশন ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে নগরীর ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ শেখ মুজিব সড়কে মাজারগেট এলাকায় নালায় পড়ে নিখোঁজ হন সেহেরীন মাহবুব সাদিয়া (১৯)। তিনি চট্টগ্রামের আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর রাত ৩টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদলের সদস্যরা নালা থেকে সাদিয়ার মৃতদেহ উদ্ধার করেন।
এর আগে ২৬ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর সদরঘাট থানার মাঝিরঘাট রোডের ড্রেন থেকে অজ্ঞাত (৩৫) এক পুরুষের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের অভিমত, ড্রেনে পড়ে গিয়ে উঠতে না পেরে মারা গেছেন অজ্ঞাত এই পথচারী।
এছাড়া গত ২৫ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে মুরাদপুর এলাকায় রাস্তার পাশে ড্রেনে পড়ে তলিয়ে যান সালেহ আহমেদ নামে এক সবজি ব্যবসায়ী। এক মাস পেরিয়ে গেলেও নিখোঁজ সালেহ আহমেদের মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি এখনো।
গত ৩০ জুন বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর ২ নম্বর গেট মেয়র গলিতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা খালে পড়ে নিহত হন খাতিজা বেগম (৬৫) ও সিএনজিচালিত অটোচালক মো. সুলতান (৩৮)। তবে এ ঘটনায় অটোতে বাকি তিনজনকে উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। দুই নম্বর গেট মেয়র গলির টিঅ্যান্ডটি কলোনি এলাকা থেকে ডাক্তার দেখানোর জন্য সিএনজি অটোরিকশা করে মোট চারজন বের হন। এ সময় বাসা থেকে রওনা দিতেই সিএনজি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের খালের পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ড্রেনের পানিতে ডুবে মারা যান ২ জন।