বাঁশখালীতে শ্রমিক নিহতের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে আরো ৫ রিট

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে ৫ জন নিহতের ঘটনায় আরো ৫টি রিট আবেদন করা হয়েছে। মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী ৫টি সংগঠনের পক্ষ থেকে এসব রিট আবেদন করা হয়েছে। এসব রিট আবেদনেও ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত চাওয়া হয়েছে। এই তদন্ত সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

এ নিয়ে বাঁশখালীর ঘটনায় ৬টি রিট আবেদন দাখিল হলো। এর আগে মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) পক্ষ থেকে ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে গত ২২ এপ্রিল পৃথক এটি রিট আবেদন দাখিল করা হয়। বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চে এসব রিট আবেদনের ওপর শুনানি হবে।

নতুন রিট আবেদনকারী সংগঠনগুলো হলো- বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতি (বেলা), বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), নিজেরা করি, সেফটি অ্যান্ড রাইটস এবং অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি)। এসব রিট আবেদনকারীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান রিট আবেদন করার তথ্য নিশ্চিত করেন।

মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) করা রিট আবেদনে নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে তিন কোটি টাকা এবং আহতদের পরিবারকে দুই কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ প্রদান, ওই ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলা প্রত্যাহার, প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা, নিহত ও আহত শ্রমিকদের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। রিট আবেদনে স্বরাষ্ট্র, আইন, শিল্প ও বানিজ্য সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।

এর আগে গত ১৮ এপ্রিল আসকের পক্ষ থেকে সরকারকে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়। ওই নোটিশে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া ও ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপুরণ দিতে বলা হয়। চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে শ্রমিকদের বেতনভাতাসহ ১১ দফা দাবি নিয়ে অসন্তোষের জেরে গত ১৭ এপ্রিল শনিবার পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ৫ শ্রমিক নিহত ও অন্তত ৩২ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বাঁশখালী থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। বাশখালী থানার পুলিশ বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছেন। আর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান সমন্বয়কারী মো. ফারুক বাদী হয়ে পৃথক একটি মামলা করেন। এ দুটি মামলায় শ্রমিক ও এলাকাবাসীসহ প্রায় সাড়ে তিনহাজার ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ

- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরও

- Advertisement -spot_img