রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মোহাম্মদ মুহিব্বুল্লাহ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার আরও তিনজন রোহিঙ্গাকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালত এ রিমান্ডের আদেশ দেন।
রিমান্ডে পাওয়া রোহিঙ্গারা হলেন, উখিয়ার কুতুপালং লম্বাশিয়া ১ ইস্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্প ১৫ ব্লকের বাসিন্দা জকির আহমদের ছেলে জিয়াউর রহমান (২৫), লম্বাশিয়া ৮ ডব্লিউ ক্যাম্পের এইচ ৫৪ নম্বর ব্লকের মকবুল আহমদের ছেলে মোহাম্মদ সালাম (৩২) ও ৫ নম্বর ক্যাম্পের রজক আলীর ছেলে মো. ইলিয়াছ (২৮)।
এর আগে গত রোববার কুতুপালং ৭ নম্বর ক্যাম্পের সি ব্লকের নুর বশরের ছেলে মোহাম্মদ সলিম প্রকাশ লম্বা সেলিম (৩২) কুতুপালং ৩ নম্বর ক্যাম্পের রহিম উল্লাহর ছেলে শওকত উল্লাহকে (২৩) তিন দিনের রিমান্ড নেয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও উখিয়া থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক কার্তিক চন্দ্র পাল জানান, এ ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচ সন্দেহভাজন রোহিঙ্গাকেই রিমান্ডে পাওয়া গেছে। রোহিঙ্গা নেতা হত্যা মামলায় গত রোববার পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১৪ এপিবিএন এর অধিনায়ক পুলিশ সুপার নাঈমুল হক জানান, এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের ধরতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট কাজ করছে। শিগগিরই এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে উখিয়ার লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা শিবিরে নিজ সংগঠনের কার্যালয়ে আততায়ীর গুলিতে খুন হন রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ। তিনি আরকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস (এআরএসপিএইচ) এর চেয়ারম্যান ছিলেন। রোহিঙ্গাদের এই নেতা দেশে-বিদেশে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অধিকার আদায় ও স্বদেশে প্রত্যাবাসন নিয়ে সরব ছিলেন। তাঁর হত্যাকাণ্ডে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। নিহতের ভাই হাবিবুল্লাহও দাবি করে আসছেন প্রত্যাবাসন বিরোধীরা এ হত্যাকাণ্ডে সঙ্গে জড়িত। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে উখিয়া থানায় হাবিব উল্লাহ একটি মামলা দায়ের করেন তিনি।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, সবদিক বিবেচনায় নিয়ে এ মামলা তদন্ত করা হচ্ছে।