পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা ব্যানার্জি শপথ নেবেন বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর)। তার সাথে ওইদিন আরও শপথ নেবেন তৃণমূলের সদ্য বিজয়ী বাকী দুই বিধায়ক-আমিরুল ইসলাম এবং জাকির হোসেন।
বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে রাজ্য বিধানসভায় তিন বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করাবেন রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।
মঙ্গলবার এক টুইট বার্তায় এ কথা জানান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।
সম্প্রতি রাজ্যের দক্ষিণ কলকাতার ‘ভবানীপুর’ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে রেকর্ড ভোটে জয়ী হন মমতা ব্যানার্জি। ৫৮ হাজার ৮৩৫ ভোটে তিনি পরাজিত করেন বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকে।
অন্যদিকে, মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী জাকির হোসেন ৯২ হাজারের বেশি ভোটে হারান বিজেপি প্রার্থী সুজিত দাসকে এবং সামসেরগঞ্জ থেকে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হন আমিরুল ইসলাম। ২৬ হাজারের বেশি ভোটে তিনি পরাজিত করেন কংগ্রেস প্রার্থী জইদুর রহমানকে।
ভারতের সংবিধান অনুযায়ী, রাজ্যপাল বা তার মনোনীত কোনো ব্যক্তি বিধায়কদের শপথবাক্য পাঠ করাতে পারেন। সেক্ষেত্রে বিধানসভাতেই শপথগ্রহণ হয় এবং রাজ্যপালের অনুমতি নিয়েই সেই শপথবাক্য পাঠ করান বিধানসভার স্পিকার। সেই মোতাবেক রাজ্য সরকারের পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জির মন্ত্রণালয়ের পক্ষে রাজ্যপালকে চিঠি পাঠিয়ে আবেদন জানানো হয় যে, ‘রাজ্যপাল যেন আগামী ৭ তারিখ সকাল ১১.৪৫ মিনিটে বিধানসভায় এসে মমতা ব্যানার্জিসহ তিন বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করান।’
এরপর রাজ্যপাল টুইট করে জানান, ‘যতক্ষণ না পর্যন্ত তিনজন বিধায়কের জয়ের গেজেট নোটিফিকেশন বের হচ্ছে, ততক্ষণ তিনি শপথবাক্য পাঠ করানোর বিষয়টিতে ব্যবস্থা নিতে পারবেন না এবং তিনি সংবিধান মেনে ব্যবস্থা নিতে পারেন।’ স্বভাবতই মমতাসহ তিন বিধায়কের শপথগ্রহণকে কেন্দ্র করে রাজ্য সরকার ও রাজ্যপালের মধ্যে সংঘাতের একটা পরিবেশ তৈরি হওয়ার দিকে গড়াচ্ছিল। এরই মধ্যে সোমবার রাতে তিন জয়ী বিধায়কের জয়ের নোটিফিকেশন জারি হয়।
আর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় টুইট করে রাজ্যপাল ফের জানান, ‘সকাল ১১.৪৫ মিনিটে নয়, এর পরিবর্তে ৭ অক্টোবর দুপুর ২টার সময় মমতা ব্যানার্জি, জাকির হোসেন ও আমিরুল ইসলাম’এর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হবে। বিধানসভায় তাদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন রাজ্যের রাজ্যপাল।’
ফলে মমতা ব্যানার্জি শপথ নিতে আর কোন বাঁধা রইলো না।