চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৬০ কোটি ৭৯ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ঘোষিত বাজেটে শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা কিন্তু গবেষণায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে মাত্র ৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ড. এ. আর. মল্লিক ভবনের (প্রশাসনিক ভবন) উপাচার্যের সভাকক্ষে সিনেটের বার্ষিক অধিবেশনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এস. এম. মনিরুল হাসান বাজেট উত্থাপন করেন এবং অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ৩৬০ কোটি ৭৯ লক্ষ টাকা। যার মধ্যে ২৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন, ভাতা ও পেনশন বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। যা মোট ব্যয়ের ৬৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ এবং গবেষণায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা, যা মোট ব্যয়ের ১ দশমিক ৫২ শতাংশ৷

২০২০-২১ অর্থবছরে এ খাতে ৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এবছর গবেষণায় ১ কোটি ৫ লাখ টাকা বৃদ্ধি পেলেও তা অপ্রতুল মনে করছেন অনেকে।

এদিকে, পণ্য ও সেবা (সাধারণ) খাতে ৪৩ কোটি ২২ লাখ টাকা, যা মোট বাজেটের ১১ দশমিক ৯৮ শতাংশ এবং পণ্য ও সেবা (মেরামত ও সংরক্ষণ) খাতে ১২ কোটি ২২ লাখ টাকা, যা মোট বাজেটের ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ।

অনুমোদিত বাজেটে শিক্ষার্থী প্রতি বাৎসরিক গড় ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার ৬১৬ টাকা। এর বিপরীতে আয় ধরা হয়েছে মাত্র ১৮০ টাকা। বাজেটের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খাতের মধ্যে চিকিৎসায় ৫৮ লাখ, পরিবহন ১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা, বইপত্র, সংবাদপত্র ও সাময়িকী খাতে ৮৩ লাখ টাকা ও প্রকাশনা খাতে ১৮ লাখ টাকা বাজেট ধরা হয়েছে।

উন্নয়ন বাজেটে ২০২০-২১ অর্থবছরের সংশোধিত এডিপি ৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা এবং ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত এপিডি ৮৩৫ কোটি ৭২ লাখ ৮৭ হাজার টাকা।

বাজেট অধিবেশনে সিনেট সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, ‘‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ বছর মেয়াদি ‘ডিজিটাল মাস্টার প্ল্যান’ এর আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও একাডেমিক কর্মকাণ্ডে উৎকর্ষতা বৃদ্ধি, ক্যাম্পাসে শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আবাসিক সুবিধা সৃষ্টিসহ শিক্ষার পরিবেশগত মানোন্নয়নের লক্ষ্যে আগামী ৫ বছরে বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়ে ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন (প্রথম পর্যায়)’ শীর্ষক একটি প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য ইউজিসির মাধ্যমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পেশ করা হয়েছে। এই প্ল্যান বাস্তবায়ন সম্ভব হলে একাডেমিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন সাধিত হবে।

সিনেটের সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এস. এম. মনিরুল হাসান বলেন, ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রস্তাবিত মূল বাজেট ৫৫১ কোটি ৭৫ লাখ চাহিদার অনুকূলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্ভাব্য নিজস্ব আয় ২০ কোটি টাকাসহ মোট ৩৫১ কোটি ৮১ লাখ টাকা বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে বরাদ্দ পাওয়া যায়। উক্ত বরাদ্দ সমন্বয় করে ৩৩১ কোটি ৮১ লাখ টাকা নীট বরাদ্দ পাওয়া যায়।

তিনি আরও বলেন, বাস্তবতা যাচাই বাছাই করে ৩৬০ কোটি ৭৯ লাখ টাকার বাজেট প্রণয়ন করা হয়। এর মধ্যে ৮ কোটি ৯৮ লাখ।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ

- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরও

- Advertisement -spot_img