স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, দেশের মানুষের কল্যানে কোনো প্রকল্পে উন্নয়ন সংস্থার অর্থায়ন না পেলেও সরকার নিজস্ব অর্থায়নে তা বাস্তবায়ন করবে।
তিনি আজ রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত ইনকাম সাপোর্ট প্রোগ্রাম ফর দ্যা পুওরেস্ট (আইএসপিপি) যত্ন প্রকল্পের ‘ গুড প্র্যাকটিসেস এন্ড লেসন লার্নড’ শীর্ষক এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, “ বাংলাদেশ ধীরে ধীরে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের দেশের জন্য যা মঙ্গলকর এবং লাভজনক এমন প্রকল্পে যদি বিদেশি কোনো সংস্থা অর্থায়ন না করে তাহলে আমরা কি সেই প্রকল্প নিবো না ? অবশ্যই নিতে হবে এবং সরকার তা নিচ্ছে, কারণ সেই সক্ষমতা আমাদের রয়েছে।”
তিনি বলেন, দেশ ও মানুষের উন্নয়নে অনেক প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। এ সকল প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। শুধু প্রকল্প নিয়ে নিলেই হবে না, এগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রকল্প নেওয়া হয় আবার শেষও হয়। কিন্তু প্রকল্প থেকে শিক্ষা নিতে হবে এবং প্রকল্পের গুড প্রাক্টিসগুলো পরবর্তীতে কাজে লাগাতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতিটি মানুষই সম্পদ। প্রত্যেকটি মানুষের মধ্যে সম্ভাবনা রয়েছে। তাদের সেই সুপ্ত প্রতিভাকে কাজে লাগাতে হবে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি উক্তি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের পর ধ্বংসপ্রাপ্ত দেশ পেয়ে বলেছিলেন, ‘দেশে কিছু থাক আর না থাক আমার মাটি ও মানুষ আছে। সেই মাটি ও মানুষকে সম্পদে রূপান্তরিত করে দেশ গড়ার কাজ শুরু করেন বঙ্গবন্ধু।
যতœ প্রকল্পকে একটি ব্যতিক্রম প্রকল্প হিসেবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে অন্তঃসত্ত্বা নারী এবং তার শিশু যারা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ তাদের স্বাস্থ্য সেবায় সরাসরি অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়ে থাকে। এই প্রকল্পটি বর্তমান সরকারের একটি যুগান্তকারী ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ।
স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও যত্ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক দীপক চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের অপারেশন ম্যানেজার ড্যানডেন চেন ও স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী।
স্থানীয় সরকার বিভাগের মাধ্যমে পরিচালিত প্রকল্পটি রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের সাতটি জেলার ৪৩ টি উপজেলায় ৪৪৪ টি ইউনিয়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
প্রকল্প এলাকার অন্তঃসত্ত্বা নারী ও অন্তঃসত্ত্বা কালীন সময়ে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে সভা, শূন্য থেকে সাত মাস বয়সের শিশুদের ওজন ও উচ্চতার পরিমাপ এবং শিশুদের দৈহিক বিকাশ ও বৃদ্ধির জন্য অর্থ সহায়তা পেয়ে থাকেন।