স্বাস্থ্যবিধি মানা ও টিকাদানের হার বাড়ানোর ফলে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বস্তির আভাস দিলেও এর প্রভাব এখনো রয়েছে। কয়েকদিন ধরে আক্রান্ত ও মৃত্যু কিছুটা কম ছিল। তবে তা আবার বেড়েছে। বিশ্বজুড়ে করোনা প্রায় ৪৭ লাখ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। গত একদিনে করোনায় প্রাণহানির তালিকায় যুক্ত হয়েছেন আরও ৮ হাজার ৪৮৭ জন। এই সময়ে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৬৩ হাজার মানুষ।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২২ কোটি ৮৩ লাখ ৭৭ হাজার ৭৫২ জনের। মৃত্যু হয়েছে ৪৬ লাখ ৯২ হাজার ৩১১ জনের। করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ২০ কোটি ৪৯ লাখের বেশি মানুষ। এখন করোনা রোগী রয়েছেন প্রায় এক কোটি ৮৭ লাখ। এদের মধ্যে ১ লাখের বেশি রোগীর অবস্থা গুরুতর।
করোনায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪ কোটি ২৭ লাখ ৯৯ হাজারের বেশি মানুষের। এছাড়া মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৯০ হাজার ৭১৪ জনের।
করোনায় হতাহতের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩ কোটি ৩৪ লাখ ১৫ হাজারের বেশি মানুষের। এই মারণ ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ৪৪ হাজার ৫৬৩ জনের। তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। দেশটিতে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২ কোটি ১১ লাখ ২ হাজারের বেশি মানুষের। মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৮৯ হাজার ৭৪৪ জনের।
তালিকায় ২৮ নম্বরে থাকা বাংলাদেশে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৫ লাখ ৪০ হাজার ১১০ জনের এবং মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার ১৪৭ জনের। এখন করোনা রোগী রয়েছেন ১৫ হাজার ৯৫৪ জন। এদের মধ্যে ১৪৬৪ জনের অবস্থা গুরুতর।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জোরকদমে চলছে টিকাদান। এরই মধ্যে বেশিরভাগ দেশ তাদের প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার বেশিরভাগকে টিকা দিয়ে ফেলেছে। টিকা দেয়ার হার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শিথিল করা হয়েছে করোনা বিধিনিষেধ। এরই মধ্যে বেশিরভাগ দেশ স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করেছে। তুলে নেয়া হয়েছে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে কোয়ারেন্টাইন এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে টিকা নেয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।