৭ গোলের থ্রিলার ম্যাচে ৫-২ ব্যবধানে সেল্টা ভিগোকে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। তবে ম্যাচে দুই-দুইবার পিছিয়ে পড়েছিল স্প্যানিশ জায়ান্টরা। দ্বিতীয়ার্ধে নজরকাড়া নৈপুণ্য ও করিম বেনজেমার হ্যাটট্রিকে দারুণ জয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে কার্লো আনচেলোত্তির দল।
রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে রিয়ালের ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে সেল্টা ভিগোর বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করার পাশাপাশি ভিনিসিউস জুনিয়রের গোলেও অবদান রাখেন বেনজেমা। তাদের অপর গোলদাতা অভিষিক্ত এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা।
বড় জয় দিয়েই সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে প্রত্যাবর্তন করলো রিয়াল মাদ্রিদ। সংস্কার কাজের জন্য প্রায় দেড় বছর বন্ধ ছিলো রিয়ালের ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যু। এ সময়ে তারা হোম ম্যাচগুলো খেলেছে আলফ্রেড ডি স্টেফানো স্টেডিয়ামে।
ঘরের মাঠে ৪ মিনিটেই পিছিয়ে পড়ে রিয়াল। এ সময় স্যান্টি মিনা গোল করে এগিয়ে নেন সেল্টাকে। ডি-বক্সে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে ভুল করে বসেন ক্যাসেমিরো ও নাচো। সেই সুযোগে ইয়াগো আসপাসের পা ঘুরে বল পান সান্তি, যা কাজে লাগাতে কোনো ভুল করেননি তিনি।
এই লিড অবশ্য বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি সফরকারিরা। ২৪ মিনিটের মাথায় করিম বেনজেমা গোল করে দলকে সমতায় ফেরান। পেনাল্টি স্পটের কাছে ফাঁকায় বল পেয়ে প্রথম ছোঁয়ায় জোরালো শটে লক্ষ্য ভেদ করেন বেনজেমা।
তবে ম্যাচে ৩১তম মিনিটের মাথায় আবারও পিছিয়ে পড়ে রিয়াল। এ সময় সেল্টা ভিগোর ফ্রাঙ্কো কার্ভি গোল করে এগিয়ে নেন দলকে। তাতে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় সেল্টা।
বিরতি থেকে ফিরেই ম্যাচের ৪৬তম মিনিটে জোড়া গোল পূর্ণ করেন রিয়ালের অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ড বেনজেমা। তাতে আবারও ম্যাচে ফেরে সমতা। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি রিয়ালকে। ৫৪তম মিনিটে ভিনিসিউস জুনিয়রের গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল।
ম্যাচের ৭২তম মিনিটে এডুয়ার্ডো কামাভিঙ্গার গোলে ব্যবধান হয় ৪-২। এ সময় লুকা মদ্রিচের শট গোলরক্ষক ঠেকালেও দলকে বিপদুমক্ত করতে পারেননি, আলগা বল অনায়াসে জালে পাঠান ১৮ বছর বয়সী কামাভিঙ্গা।
ম্যাচের ৮৭ মিনিটে পেনাল্টি পায় রিয়াল। পেনাল্টি থেকে গোল করে নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন করিম বেনজেমা। ডি-বক্সের মধ্যে ফাউলের শিকার হন ভিনিসিয়াস, পেনাল্টি পায় রিয়াল। আসরে এখন পর্যন্ত চার ম্যাচে ৫ গোল করে তালিকার শীর্ষে বেনজেমা।
এই জয়ে চার ম্যাচে তিন জয় ও এক ড্রয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে রিয়াল মাদ্রিদ। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে ভ্যালেন্সিয়া, তিনে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ।