আফগানিস্তানের মেয়েরা উচ্চশিক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করতে পারবেন তবে ছেলেদের সাথে এক কক্ষে বসে নয়। আফগানিস্তানের নতুন সরকারের উচ্চশিক্ষা বিষয়ক মন্ত্রী আবদুল বাকি হাক্কানি এমন কথা জানান।
দুই দশক পর তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসার পার অনেকেই ধারণা করছিলেন, এর আগে তারা নারী শিক্ষা নিষিদ্ধসহ যেসব কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছিল, এবারও তা ফিরিয়ে আনবে। কিন্তু নারী শিক্ষার বিষয়ে ২০ বছর আগের নীতি থেকে সরে এসেছে তালবান। এবার নারীদের উচ্চশিক্ষার অনুমোদন দিচ্ছে তারা।
রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) নারী শিক্ষা নিয়ে নতুন নীতিমালা ঘোষণা করতে গিয়ে আবদুল বাকি হাক্কানি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ইসলামি শরিয়াহ অনুযায়ী নারী শিক্ষার্থীদের মানতে হবে নির্দিষ্ট ড্রেসকোডও। তবে সর্বোচ্চ শিক্ষা গ্রহণে কোনো বাধা নেই আফগান নারীদের। যদিও এক্ষেত্রে হিজাব পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে বলে জানান তিনি। তবে মুখ ঢাকা বাধ্যতামূলক কিনা সেই ব্যাপার স্পষ্ট করেননি হাক্কানি।
আফগানিস্তানের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেসব বিষয় পড়ানো হচ্ছে, সেগুলোও পর্যালোচনা করবে তালেবান। আফগানিস্তানের উচ্চশিক্ষা বিষয়ক ওই মন্ত্রী বলেন, শ্রেণিকক্ষে নারী ও পুরুষদের আলাদাভাবে বসতে হবে। সম্ভব হলে আলাদা ভবন বা ক্লাসরুমও আলাদা করা হবে বলে জানান তিনি। আর সেটা না করা গেলে, আলাদা আলাদা সময়ে নারী ও পুরুষদের পাঠদান করা হবে বলে জানান তিনি।
তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা নেয়ার আগেও স্কুলগুলোতে ছেলেমেয়েরা আলাদা ক্লাস করতো। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে সহশিক্ষার সুযোগ ছিলো, মানতে হতো না কোনো ড্রেসকোডও।
হাক্কানি বলেন, আমাদের দেশে সহশিক্ষা বাতিলে কোনো সমস্যা হবে না। কারণ, আমাদের জনগণ মুসলিম। তারা বিষয়টি মেনে নেবে। আফগানিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পঠনপাঠনকে তারা বিশ্বের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সমপর্যায়ে নিয়ে যেতে চান বলেও জানান আফগান শিক্ষামন্ত্রী।