আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতা দখলের পর কাবুলে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
আল-আরাবিয়ার খবরে বলা হয়েছে, মুসলিমবিশ্বের অন্যতম সমৃদ্ধ দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠতম মিত্র। কাতার কুয়েত ও বাহরাইনের পাশাপাশি এই দেশটি কাবুল থেকে সেনা ও আফগান জনগণকে সরিয়ে নিতে সহায়তা করেছে যুক্তরাষ্ট্রকে।
দেশটির বিমানবন্দর নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনা সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক সাইফ ইব্রাহিম বলেন, গত ৩ সেপ্টেম্বর থেকে আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তার জন্য ‘এয়ার ব্রিজ’ স্থাপন করেছে আরব আমিরাত সরকার। সেই থেকে এখন পর্যন্ত দৈনিক ১১টি করে ফ্লাইট আসছে, ২৫৫ টন খাদ্য ও মেডিকেল সহায়তা গ্রহণ করেছি।
শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুইটি বিমান আফগানিস্তানে মেডিকেল, রান্নার তেল, পাউডার মিল্কসহ খাদ্য প্যাকেজ আনলোড করেছে।
তালেবানের ক্ষমতা দখলের পর আফগানিস্তান থেকে যে ১ লাখ ২০ হাজার মানুষ পালিয়েছে তার দুই তৃতীয়াংশ সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কাতারে অবতরণ করে। সেখান থেকে তারা যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশে গেছে।
উপসাগরীয় অঞ্চলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মার্কিন সামরিক ঘাঁটি রয়েছে কাতারে। এই দেশটি তালেবান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রধান মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতায় ফেরার পর যুক্তরাষ্ট্রসহ অধিকাংশ দেশ কাবুল থেকে দূতাবাস কাতারে স্থানান্তরিত করেছে।
১৯৯৬-২০০১ সালে তালেবান সরকারকে যে তিনটি দেশ স্বীকৃতি দিয়েছিল তার অন্যতম ছিল সংযুক্ত আমিরাত। আফগানিস্তানের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি কাবুল থেকে পালিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আশ্রয় নিয়েছে।