সিআরবি ধ্বংসের চক্রান্ত প্রতিহত করা হবে

প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংস করে জনস্বার্থ বিরোধী হাসপাতাল নির্মাণের চট্টগ্রামের সিআরবি ধ্বংসের চক্রান্ত প্রতিহত করা হবে মন্তব্য করেছেন বক্তারা। জনস্বার্থ বিরোধী ক্ষতিকর প্রকল্প জনগণের সম্মিলিত স্বতস্ফুর্ত আন্দোলনের তোড়ে উড়ে যাবে বলে মন্তব্য করেন তারা।

শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সিআরবি রক্ষায় আন্দোলনকারী সংগঠন নাগরিক সমাজ, চট্টগ্রামের সমাবেশে বক্তারা এই ঘোষণা দেন।

সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল বলেন, সিআরবি চট্টগ্রামের ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। মানুষকে বাঁচতে হলে প্রকৃতির নির্মল পরিবেশ দরকার। চট্টগ্রামের সেই পরিবেশ এখন অনেকটা নষ্ট হয়ে গেছে। একমাত্র সিআরবি আছে।

শুধু চট্টগ্রাম নয়, দেশের কোথাও সিআরবি’র মতো নান্দনিক সৌন্দর্যমন্ডিত প্রাকৃতিক পরিবেশ দেখা যাবে না। এখন তা ধ্বংস করা হচ্ছে। কোন প্রকারে এটিকে ধ্বংস করতে দেয়া যাবে না। সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মিত হলে পরিবেশ দূষণ ঘটবে এবং পুরো সিআরবি এলাকাটির প্রাকৃতিক পরিবেশ ও সাংস্কৃতিক বলয় হুমকির মুখে পড়বে। সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্প জনস্বার্থ বিরোধী প্রকল্প। যে কোন মূল্যে সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণের চক্রান্ত প্রতিহত করা হবে।

সমাবেশে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, সরকারি জায়গা জনগণের সম্পত্তি। জনগণের সম্পত্তিতে সাধারণ মানুষের স্বার্থ রক্ষা করবে না- এমন কোন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যাবে না। সিআরবি রক্ষা করার বিষয়টি আইনিভাবে নির্ধারিত।

সিআরবিতে স্থাপনা নির্মাণের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের আপামর মানুষ, বিভিন্ন সেবাসংস্থা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সুস্থ ধারার প্রগতিশীল ব্যক্তি সকলেই। এই জনস্বার্থ পরিপন্থি ক্ষতিকর প্রকল্প জনগণের সম্মিলিত স্বতস্ফুর্ত আন্দোলনের তোড়ে উড়ে যাবে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইউনুস বলেন, সরকারের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতেই একটি স্বার্থান্বেষী মহল সিআরবিতে স্থাপনা নির্মাণ করতে চাইছে। সিআরবিতে হাসপাতালের নামে বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণ প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করার ষড়যন্ত্র করছে। সিআরবি’তে যে হাসপাতাল নির্মাণের প্রস্তাবনা হয়েছে, সেটি শুধুমাত্র ধনীদের স্বার্থ রক্ষাকারী।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. ইদ্রিস আলী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কবি হোসাইন কবির, আওয়ামী লীগ নেতা জসিম উদদীন চৌধুরী, বিএফইউজে’র যুগ্ম মহাসচিব মহসীন কাজী, যুগ্ম সদস্যসচিব রাশেদ হাসান, স্বপন মজুমদার, আওযামী লীগ নেতা হাসান মনসুর, আবৃত্তিকার প্রনব চৌধুরী, নুরুল আনোয়ার, দেবাশীষ নাথ দেবু, সাবেক ছাত্রনেতা শিবু প্রসাদ চৌধুরী, নুরুল আজিম রনি, নারী নেত্রী হাসিনা আক্তার টুনু, তোফাজ্জল হেসেন জিকু, আরফাতুল মান্নান ঝিনুক, জেনিফার আলম, কবি মিনু মিত্র, দিলরুবা খানম।

ছাত্রনেতা মাহামুদুর করিমের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন সাজ্জাদ হোসেন জাফর, রতন ঘোষ, কামরুল হুদা পাভেল, পুলক বড়ুয়া, শাহারিয়ার তানিম, জাহেদ অভি, মুস্তাফিজ উদ্দিন প্রমূখ।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ

- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরও

- Advertisement -spot_img