বিধিনিষেধ শেষ হওয়ার আগেই চিরচেনা রূপে ফিরেছে রাজধানী

করোনার সংক্রমণ রোধে সরকারের জারি করা বিধিনিষেধ শেষ হওয়ার আগেই চিরচেনা রূপে ফিরেছে রাজধানী।

সোমবার (২৬ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে স্বাভাবিক সময়ের মতো মানুষকে চলতে দেখা গেছে। এছাড়া প্রায় প্রতিটি সড়কেই যানজট লক্ষ্য করা গেছে।

সোমবার সকালে রাজধানীর আসাদগেট, শুক্রাবাদ, ধানমন্ডি রাসেল স্কয়ার, কলাবাগান ও পান্থপথ সিগন্যাল এলাকা ঘুরে সড়কে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল ও রিকশার আধিক্য দেখা যায়। অন্যদিকে সবগুলো সড়কেই গাড়ির চাপ বেশি থাকায় প্রতিটি সিগন্যালেই যানজটের মুখে পড়তে হচ্ছিল সাধারণ মানুষকে।

চলমান বিধিনিষেধের সময়সীমা ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত হলেও সড়কে তার কোনো প্রভাব দেখা যায়নি। গত কয়েকদিনে লোকজনকে মুভমেন্ট পাস নিয়ে চলতে দেখা গেলেও আজ তাতেও অনিহা দেখা গেছে। সড়কে বের হওয়া অনেকে এ বিষয়ে ভাবছেনই না।

সৌরভ হাসান নামের এক বেসরকারি চাকরিজীবী বলেন, এতদিন হোম অফিস করেছি। কিন্তু আজ থেকে আবার অফিসে যেতে হচ্ছে। সবকিছুই তো খুলে দেওয়া হয়েছে। তাহলে আবার মুভমেন্ট পাস লাগবে কেন?

এছাড়া সড়কে পুলিশের পক্ষ থেকে এতদিন বিভিন্ন চেকপোস্টে জন ও যানচলাচলে কড়াকড়ি আরোপ করা হলেও আজ তা দেখা যায়নি। তবে ছাড় পাচ্ছেন না মোটরসাইকেল চালকরা। মোটরসাইকেলে একাধিক আরোহী থাকলেই থামানো হচ্ছে, চাওয়া হচ্ছে মুভমেন্ট পাস।

ধানমন্ডির রাসেল স্কয়ার এলাকায় দায়িত্বরত ট্রাফিক উপপরিদর্শক (টিএসআই) মাহবুব হোসেন বলেন, অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ সড়কে গাড়ি অনেক বেশি। সকাল থেকেই সড়ক নিয়ন্ত্রণে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। মূলত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং অনেক বেসরকারি অফিস খুলে দেওয়ায় সড়কে গাড়ির চাপ বেড়েছে।

মুভমেন্ট পাস নিয়ে চলাচলের নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে সবার মুভমেন্ট পাস চেক করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তারপরও আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। যাদের সন্দেহ হচ্ছে তাদের থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। যারা মুভমেন্ট পাস দেখাতে পারছেন না, তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।

তবে শুধুমাত্র মোটরসাইকেল আরোহীদের মুভমেন্ট পাসের জন্য জরিমানা করায় ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় অনেককে। শুভব্রত দাস নামের এক মোটরসাইকেল চালক বলেন, অফিসের ব্যাবসায়িক কাগজ দেখানোর পরও মামলা খেতে হলো। সবকিছুই তো চলছে তাহলে বেছে বেছে কেন মোটরসাইকেল চালকদের হয়রানি করা হচ্ছে? করোনাকালে এমনিতেই মানুষের আর্থিক দৈন্যদশা চলছে। তার ওপর মোটা অংকের জরিমানা আমাদের জন্য বাড়তি চাপ হয়ে যাচ্ছে।

অন্যদিকে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মার্কেটের কর্মচারী ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীদের পড়তে হয়েছে চরম ভোগান্তিতে। গন্তব্যে পৌঁছাতে রিকশাই ছিল তাদের একমাত্র ভরসা। এজন্য গুনতেও হয়েছে বাড়তি ভাড়া। এ অবস্থায় গণপরিবহন চালুর দাবি জানিয়েছেন অনেকে।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ

- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরও

- Advertisement -spot_img