ইসরায়েলের একটি কারাগার থেকে পালানো ছয় ফিলিস্তিনি কয়েদির সমর্থনে আনন্দ মিছিলে গুলি চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। কয়েদিদের তন্ন তন্ন করে খুঁজছে তারা। পালিয়ে যাওয়াদের খুঁজে বের করতে না পারায় গ্রেপ্তার করা হচ্ছে তাদের আত্মীয়দের।
আবারো বিক্ষোভে উত্তাল অধিকৃত পশ্চিম তীর। কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিয়ে ইসরায়েলের অন্যতম সুরক্ষা কারাগার গিলবোয়া থেকে পালানো ফিলিস্তিনি কয়েদিদের সমর্থনে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন সাধারণ ফিলিস্তিনিরা।
ইসরায়েলবিরোধী কর্মকাণ্ডে অভিযুক্তদের রাখা এই কারাগার থেকে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে টয়লেটের স্লাব ভেঙে সুড়ঙ্গ ব্যবহার করে কীভাবে কয়েদিরা পালালো তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। এ ঘটনায় তোলপাড় ইসরায়েলে।
বন্দিদের সন্ধানে চলছে পশ্চিম তীর ও আশপাশের এলাকায় চিরুনি অভিযান। এরইমধ্যেই হন্যে হয়ে কয়েদিদের খুঁজে না পেয়ে তাদের আত্মীয়দের গ্রেপ্তার করতে শুরু করেছে ইসরায়েলি সেনারা।
জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। অবশ্য কারাগার কর্তৃপক্ষ বলছে, ভবন নির্মাণের সময় আগে থেকেই ছিল সুড়ঙ্গটি। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে প্রশাসন। ফিলিস্তিনি বন্দি সহায়তা ও মানবাধিকার সংস্থা অ্যাডামির জানিয়েছে, অধিকৃত পশ্চিম তীরে পালিয়ে যাওয়া অন্তত সাত পরিবারের সদস্যকে আটক করেছে তারা।
এর আগে বন্দি পালানোর ঘটনায় আনন্দ মিছিল করেছিল বিভিন্ন ইসলামি সংগঠন। এ ঘটনাকে ইসরায়েলিদের বিরুদ্ধ জয় হিসেবেই দেখছে ফিলিস্তিনিরা।
প্রসঙ্গত, গত রোববার স্থানীয় সময় ভোর ৩টার দিকে তারা সুড়ঙ্গ খুঁড়ে কয়েদিরা পালিয়ে যাওয়ার সময় কারাগারে সতর্কতা সংকেত বেজে ওঠে। এরপর বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আসে।
ইসরায়েলের কারা কর্তৃপক্ষ বিবৃতিতে জানায়, পলাতকদের মধ্যে পশ্চিম তীরের জেনিন শহরের সাবেক জঙ্গি নেতা জাকারিয়া জুবাইদি রয়েছেন।
এদিকে কারাগার থেকে বন্দীদের পালানোকে ‘ভয়ানক ঘটনা’ বলে অভিহিত করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট। তিনি অভিযান সম্পর্কে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছেন।