রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবস পালনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ ফিজিওথেরাপির গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করতে সক্ষম হবে।
বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবস’ পালনের উদ্যোগকে তিনি স্বাগত জানান। এ উপলক্ষে তিনি ফিজিওথেরাপি পেশার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘লং কোভিড এবং পুনর্বাসন’ বর্তমান প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রত্যক্ষ উদ্যোগে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ১৯৭২ সালে তৎকালীন রিহ্যাবিলিটেশন ইন্সটিটিউট ও হাসপাতাল (বর্তমানে পঙ্গু হাসপাতাল) এ ফিজিওথেরাপি শিক্ষা ও চিকিৎসার সূচনা হয়।
প্রতি বছর অসংখ্য মানুষ বিভিন্ন রোগ ও দুর্ঘটনাজনিত কারণে প্রতিবন্ধিতার শিকার হন। পঙ্গুত্ববরণকারী এসব মানুষের স্বাভাবিক ও কর্মক্ষম অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে ফিজিওথেরাপির ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, দীর্ঘমেয়াদি ব্যথা, অসাড়তাসহ এ ধরনের রোগ নিরাময়ে বিশ্বব্যাপী ফিজিওথেরাপি একটি স্বীকৃত, কার্যকরী ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াবিহীন চিকিৎসা পদ্ধতি। করোনা মহামারির এ সময়ে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা আরও বেশি দৃশ্যমান হয়েছে।
বিশেষ করে কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হওয়ার পরও আক্রান্তদের মধ্যে বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। এসব জটিলতা নিরসনে ফিজিওথেরাপি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
মো. আবদুল হামিদ বলেন, পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্র (সিআরপি) এর ফিজিওথেরাপি বিভাগ অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে প্রতি বছর ৮০ হাজার রোগীকে সেবা প্রদানের পাশাপাশি প্রতিবন্ধী ও প্রতিবন্ধিতার ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের কল্যাণে বিশেষ অবদান রেখে চলেছে।
তিনি বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সব কর্মসূচির সার্বিক সফলতা কামনা করেন।