চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বের লড়াই আগামী সপ্তাহ থেকে শুরু হচ্ছে। এবারের এই আসরে স্বাগতিক সমর্থকদের পাশাপাশি এ্যাওয়ে দর্শকরাও ম্যাচগুলো উপভোগ করতে পারবে স্টেডিয়ামে বসে। এরকম এক সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে ইউরোপীয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা উয়েফা।
উয়েফা জানিয়েছে, ইউরোপ জুড়ে ভ্যাকসিন কার্যক্রম জোড়াদার হওয়ায় কোভিড বিধিনিষেধ শিথীল করা হয়েছে।
আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর বায়ার্ন মিউনিখ ক্যাম্প ন্যুতে বার্সেলোনার বিপক্ষে ও সুইস চ্যাম্পিয়ন ইয়ং বয়েসের বিপক্ষে এ্যাওয়ে ম্যাচে মাঠে নামবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এই দুই ম্যাচের মধ্য দিয়ে এ মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের পর্দা উঠবে।
করোনা মহামারীর কারনে গত মৌসুমে উয়েফা আয়োজিত প্রায় সব ধরনের ম্যাচই দর্শকশুন্য স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ইউরোপা লিগ, ইউরোপা কনফারেন্স ও বাছাইপর্বের ম্যাচগুলোও ছিল।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, স্বাগতিক শহরের সরকার ও স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের আইন ভঙ্গ না করে যেকোন সমর্থকই উয়েফার ম্যাচগুলো অন্য দেশে গিয়ে উপভোগ করতে পারবে। এক্ষেত্রে বিদেশী সমর্থকদের জন্য প্রতিটি স্টেডিয়ামে ৫ শতাংশ আসন বরাদ্দ থাকবে। ভ্যাকসিনের আওতায় যারা এসেছে তাদের ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশে ভ্রমণের ব্যপারে কঠোরতা ইতোমধ্যেই শিথীল করা হয়েছে। এ কারনেই স্টেডিয়ামগুলোর দরজাও সমর্থকদের জন্য উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উয়েফা।
এছাড়া উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ স্টেডিয়ামগুলোতে প্রবেশের পূর্বে বারবার টেস্টের ঝামেলা থেকেও খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের মুক্তি দিয়েছে উয়েফা।
উয়েফা জানিয়েছে, এ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে যাবার আগে সংশ্লিষ্ট দেশের আইন মেনে সেখানে ভ্রমন করা যাবে, এক্ষেত্রে উয়েফার পক্ষ থেকে বাড়তি কোন বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে না। তবে দলগুলো যে দেশে ভ্রমণে যাবে সে দেশে কোন ধরনের ভ্যাকসিনের অনুমোদন আছে সে বিষয়টিও লক্ষ্য রাখা জরুরী। মঙ্গলবার সেন্ট পিটার্সবার্গে জেনিথের আতিথেয়তা নিবে চেলসি। কিন্তু রাশিয়ান ভ্যাকসিন স্পুটনিককে এখনো অনুমোদন দেয়নি ব্রিটিশ সরকার।