ভারতে আটক বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তাকে নিয়ে ডিএমপি কমিশনারের বক্তব্য

গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে অভিযুক্ত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের পৃষ্ঠপোষক বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানাকে ভারত-নেপাল সীমান্ত থেকে আটক করা হয়েছে।  শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত থেকে তাকে আটক করে।

রোববার ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সোহেল রানাকে ফিরিয়ে আনা হয়তো সহজ হবে না।  কারণ তার নামে ওখানে মামলা হয়েছে।

তিনি বলেন, ভারতে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।  সেখানে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে দেশে আনার চেষ্টা করা হবে।  দেশে ফিরিয়ে আনার পর তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
এদিকে গ্রাহকের ৭৬ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দেশীয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের কথিত পৃষ্ঠপোষক বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।  মামলার অন্য আসামিরা হলেন- প্রতিষ্ঠানটির মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান, প্রতিষ্ঠানটির চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) আমান উল্লাহ, নাজনিন নাহার বিথি, কাওসার, কামরুল হাসান, আব্দুল কাদের, নূরজাহান ইসলাম সোনিয়া ও রুবেল খান। 
 
শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) গুলশান থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 
  
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গত মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়ার আদালতে ইসতিয়াক হোসেন টিটু নামে এক ব্যক্তি সোহেল রানাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলার আবেদন করেন।  আদালত গুলশান থানাকে আবেদনটি এফএআর হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দেন।  আমরা আদালতের নির্দেশে আবেদনটি এফএআর হিসেবে গ্রহণ করি।  বর্তমানে মামলাটির তদন্ত চলছে। 
- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ

- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরও

- Advertisement -spot_img