আফগানিস্তানের নতুন সরকারের নেতৃত্ব দেবেন তালেবানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা আব্দুল গনি বারাদার। তালেবানের সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। তালেবানরা দুই সপ্তাহের বেশি সময় আগে কাবুল দখল করে নিলেও এখনও সরকার গঠন করেনি। তবে শুক্রবার আর কিছুক্ষণ পর সরকার গঠন করবে তালেবান।
তালেবানের তিনটি সূত্র জানিয়েছে, তালেবানের রাজনৈতিক শাখার প্রধান বারাদার, তালেবানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের ছেলে মোল্লা মোহাম্মদ ইয়াকুব এবং শের মোহাম্মদ আব্বাস স্তানিকঝাই সরকারের শীর্ষ পদে আসীন হবেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন তালেবান কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, এই তিন শীর্ষ নেতা কাবুল পৌঁছেছেন। নতুন সরকার গঠন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। তালেবানের আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, তালেবান প্রধান হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদে ধর্মীয় বিষয়গুলো দেখবেন এবং ইসলামী কাঠামোর মধ্যে সরকার পরিচালনা করবেন।
গত ১৫ আগস্ট কাবুল দখল করে নেয় তালেবানরা। তবে কাবুলের উত্তরে পাঞ্জশির উপত্যকা এখনও তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে রয়েছে। সেখানে তালেবান বিরোধী জোটের সঙ্গে তালেবানের সংঘর্ষ হচ্ছে।
এর আগে তালেবানের দুটি সূত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছিল, জুমার নামাজের পরই নতুন প্রশাসন ঘোষণা করা হবে। প্রায় দুই দশকের যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটিয়ে গত সোমবার আফগানিস্তান ছেড়ে যায় মার্কিন বাহিনী। এরপরই মূলত সরকার গঠনে তোড়জোড় শুরু করে তালেবান।
পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ ইতোমধ্যেই জানিয়েছে, তারা বিভিন্ন ইস্যুতে তালেবানের সঙ্গে কাজ করবে। তবে আফগানিস্তানের নতুন প্রশাসনকে স্বীকৃতি দেবে না বলে জানিয়েছে। যদিও চীন ইতোমধ্যেই জানিয়েছে, তারা আফগানিস্তানের সঙ্গে সহযোগিতা এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে চায়।
এদিকে তালেবানের একজন মুখপাত্র শুক্রবার দিনের শুরুর দিকে জানিয়েছেন, কাবুলে নিজেদের দূতাবাস খোলা রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি আফগানিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ‘জোরদার’ এবং মানবিক সহায়তা বৃদ্ধিরও ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।
তালেবান মুখপাত্র সুহেইল শাহীন বলেছেন, কাতারে দোহায় তাদের রাজনৈতিক অফিসের সিনিয়র একজন কর্মকর্তা আব্দুল সালাম হানাফি চীনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী উ জিয়াঘাওয়ের সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন। চীনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন যে, তারা কাবুলে তাদের দূতাবাস খোলা রাখবে।