চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারায় কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে পুলিশের গুলিতে নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
রবিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং নিহতের পরিবারে খোঁজ খবর নেন।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন- গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি জাফরুল্লা চৌধুরী ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, মুক্তিযোদ্ধ ইসতিয়াক, আজিজ ওরফত, রাস্ট চিন্তার এডভোকেট হাসনাত কায়ুম প্রেস সচিব জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
তারা প্রথমে গণ্ডামারা এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের ফটকের সামনে এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের চিফ কো–অর্ডিনেটর ফারুক আহমেদ, বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সফিউল কবিরসহ দায়িত্বশীলদের সঙ্গে কথা বলেন। তারা গণ্ডামারা, চাম্বল বাংলাবাজার ও শীলকূপ এলাকার ২ শতাধিক পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেন। ঘটনাস্থল ঘুরে পরে গণ্ডামারার পূর্ব বড়ঘোনায় নিহত মাহমুদ রেজা মিয়াখানের বাড়িতে যান। সেখানে নিহতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বাঁশখালী কিভাবে এ ঘটনার সৃষ্টি হলো? ম্যাজিষ্ট্রেটের অনুমতি ছাড়া কিভাবে পুলিশ শ্রমিকদেরকে গুলি করল?
তিনি বলেন, যারা নিহত হয়েছে তাদের ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫০ লাখ টাকা করে দিতে হবে, তাদের পরিবারের সদস্যদের চাকরি নিশ্চিত করতে হবে। বিচারপতির নেতৃত্বে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ১৭ এপ্রিল সকালে গণ্ডামারা ইউনিয়নের পশ্চিম বড়ঘোনায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষে ৫ জন নিহত হন। ২১ এপ্রিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মো. শিমুল (২৩) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। আহত হন প্রায় ৩০ জন। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকে আলাদা ২টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। মামলা হয়েছে দুইটি।