এরিক এরশাদ ঘোষিত ‘নতুন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান’ বিদিশা এরশাদ বলেছেন, ‘ধীরে ধীরে হতাশ হয়ে খাঁটি এরশাদপ্রেমীরা রাজনীতি থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন, ছাড়ছেন রাজনীতি। আমরা তাদের এক প্ল্যাটফর্মে ধরে রাখার চেষ্টায় করছি। আমরা কারও প্রতিদ্বন্দ্বী নই। দেশজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে এরশাদপ্রেমী সবাইকে নিয়েই জাতীয় পার্টি পুনর্গঠন করে এগিয়ে যাবো।’
সোমবার (৩০ আগস্ট) রাজধানীর গুলশানে ঢাকা মহানগর উত্তর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক জহির উদ্দিন জহিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বিদিশা এসব কথা বলেন।
বিদিশা বলেন, ‘উপমহাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ভাই কখনও উত্তরাধিকার হতে পারে না। এ ধরনের উদাহরণও নেই। এতদিন চুপ থাকার মানে এই নয় যে, তা মেনে নেওয়া হয়েছে। তবে পল্লীবন্ধুর আদর্শিক সৈনিকদের সঠিক মূল্যায়নের অপেক্ষায় ছিলাম। বিশ্বাস ছিল, এরশাদের রেখে যাওয়া সব সন্তানদের নিয়েই জাতীয় পার্টি এগিয়ে যাবে।’
সভায় বক্তব্য রাখেন পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব কাজী মামুনুর রশীদ, অ্যাডভোকেট রুবায়েত হাসান, মেজর অবসরপ্রাপ্ত আনিসুর রহমান, কাজী শামসুল ইসলাম, আক্তার হোসেন, নাফিজ মাহমুদ ও ইদ্রিস আলী প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব কাজী মামুনুর রশিদ বলেন, পল্লীবন্ধুর শাসনামলের কথা ছড়িয়ে দিতে হবে। তাঁর ভাল কাজগুলো বেশি বেশি করে মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে। ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে জাতীয় পার্টির শাসন ক্ষমতার দক্ষতা ও যোগ্যতার বার্তা।
তিনি বলেন, সময় এসেছে দেশজুড়ে এরশাদ প্রেমী কর্মী সমর্থকরা একত্রিত হন। বিভেদ ভুলে দলকে নতুন মেরুকরণে পূর্ণগঠন করে ঐক্যবদ্ধভাবে জাতীয় পার্টিকে আবারো রাষ্ট্র ক্ষমতায় নিয়ে আসতে দলীয় নেতাকর্মীদের তৃণমূলে কাজ করার আহবান জানান কাজী মামুনুর রশিদ।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন মিরপুর থানা জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহ সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম, রূপনগর থানা জাপার সহ সভাপতি মো. রিয়াজ খান, রূপনগর থানা জাপার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসএম মাসুম সুমন, রূপনগর থানা জাপার সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফ আহমেদ রাজু, মিরপুর থানা জাপা নেতা কবিরুল ইসলাম, জাপা নেতা মো. সাজ্জাতুর রহমান, বীরমুক্তিযোদ্ধা মুক্তার হোসেন, রূপনগর জাপা নেতা খান মো. মুশফিকুর রহমান, ছাত্র নেতা এবিএম মিয়াদ হোসেন ও মো. স্বপন সরদার।