এক সপ্তাহের ব্যবধানে আবারো শক্তিশালী হারিকেনের কবলে যুক্তরাষ্ট্র।
কিউবায় তাণ্ডবের পর যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানা উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ক্যাটাগরি চার মাত্রার শক্তিশালী হারিকেন ‘আইডা’। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার বলছে, বর্তমানে এটি মেক্সিকো উপসাগরে অবস্থান করলেও স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ লুইজিয়ানা উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের রোড আইল্যান্ডে আঘাত হানে হারিকেন হেনরি। এতে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে নিউইয়র্ক, নিউজার্সিসহ বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে দেখা দেয় ভারি বৃষ্টিপাত। সৃষ্টি হয় আকস্মিক বন্যার। ঘূর্ণিঝড়ের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি প্রাণ হারান বেশ কয়েকজন।
হারিকেন হেনরির রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও ঘূর্ণিঝড়ের কবলে যুক্তরাষ্ট্র। দ্বীপ রাষ্ট্র কিউবায় ধ্বংসযজ্ঞের পর মেক্সিকো উপসাগর হয়ে লুইজিয়ানা উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ইডা।
বর্তমানে ক্যাটাগরি এক মাত্রা হলেও আঘাতের সময় এটি ক্যাটাগরি চার মাত্রা হবে বলে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় এরইমধ্যে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। সরিয়ে নেয়া হচ্ছে উপকূলের বাসিন্দাদের। প্রাথমিকভাবে লুইজিয়ানা উপকূলে আঘাত হানার পূর্বাভাস দেয়া হলেও টেক্সাস, মিসিসিপি, আলাবামা ও টেনেসিসহ বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
হারিকেনের প্রভাবে দেখা দিতে পারে ভারি বৃষ্টিপাত। ২০০৫ সালে শক্তিশালী হারিকেন ক্যাটরিনার ১৬ বছর পূর্তির দিনেই আবারো ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়তে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। হারিকেন ইডাকে অতি ভয়ঙ্কর উল্লেখ করে সতর্ক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
এরআগে, হারিকেন আইডা শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকেলে ঘণ্টায় ১২৮ কিলোমিটার বেগে কিউবার উপকূলে আঘাত হানে। এতে ভারি বৃষ্টিপাত হয় দক্ষিণাঞ্চলসহ বেশ কিছু এলাকায়। প্রচন্ড বাতাসে উপড়ে যায় গাছপালা। বিধস্ত হয় কয়েকশ ঘরবাড়ি। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় শস্যক্ষেতের।
অতিবৃষ্টিতে বেশ কিছু অঞ্চলে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন থাকায় বিপাকে পড়ে কয়েক হাজার মানুষ।
স্থানীয় এক নারী বলেন, প্রচন্ড বাতাস ও ভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে এখানে। প্রচন্ড বাতাসে আমার ঘরের চাল উড়ে গেছে।
আরেকজন বলেন, উপকূলের কাছাকাছি এলাকায় প্রচন্ড ঝড় হয়েছে। পূর্ব প্রস্তুতি থাকায় আমাদের বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। কিন্তু বৃষ্টি না থামলে বন্যা দেখা দেবে। পশুপাখিকে বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়বে।
বেশকিছু এলাকায় ভূমিধস ও বন্যা সর্তকতা জারি করা হয়েছে। প্রায় এক হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়। তবে পূর্ব প্রস্তুতি থাকায় এখন পর্যন্ত কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।