তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা.মুরাদ হাসান বলেন, যারা বাংলাদেশকে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় নাই, যারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে হত্যা করেছে, যারা বাংলাদেশের সকল ইতিহাস মুছে ফেলতে চায়, যারা বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়, তারাই এখনও পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা রক্ত দিয়ে কিনেছি এই বাংলাদেশ, এই বাংলাদেশ কারও দয়ার দান না। কেউ আমাদের ভিক্ষা দেয় নাই। আমার পিতা, আমার পূর্ব পুরুষেরা রক্ত দিয়ে এই বাংলাদেশকে কিনে নিয়েছেন। অতএব, আমাদের অনেক দায় আছে। বঙ্গবন্ধুর মূল খুনী, প্রধান খলনায়ক, প্রধান পৃষ্ঠপোষক, প্রধান কুশীলব এবং সকল ষড়যন্ত্রের মূল পরিকল্পনাকারী এবং বাস্তবায়নকারীর নাম জিয়াউর রহমান। আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধের পরে জন্মগ্রহণ করেছি এবং আমার পরে যারা জন্মগ্রহন করেছে আমার সন্তান, যারা ভবিষ্যতে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা সৃষ্টি করবে, যারা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ নিমার্ণ করবে,তাদের কাছে আমার পবিত্র দায়িত্ব হলো এই ‘খুনি জিয়ার মুখোশ উন্মোচিত করা।’ আমাদের আজকের দিনের শপথ, অনেক মরণোত্তর বিচারকাজ সম্পন্ন হয়েছে, বাংলার মাটিতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু’র খুনিদের বিচার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার ২১ বছর পর্যন্ত আওয়ামীলীগকে বিতাড়িত করে এই বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোর চেষ্টায় রাজনীতি করা জিয়ার প্রেতাত্মা বেগম জিয়াসহ এরশাদের ২১ বছরের শাসন দুঃশাসন আমরা দেখেছি। ২১ বছর পর বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী হলেন রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে রাষ্ট্র পরিচালনা করলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনের বিচার বাংলার মাটিতে হলো, যুদ্ধাপরাধী ও দালাল রাজাকারদের বিচার বাংলার মাটিতে হলো। মহান চার জাতীয় নেতা ১৯৭৫ সালের ৩রা নভেম্বর জেলখানার ভিতর নৃশংস-নির্মমভাবে ঐ কাপুরুষের বাচ্চারা হত্যা করেছে তাদের বিচার বাংলার মাটিতে হয়েছে।২১ শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলার বিচার বাংলার মাটিতে চলমান ঐ পলাতক খুনিদেরকে বিদেশ থেকে আইনী প্রক্রিয়ায় বাংলার মাটিতে কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় আদালতের রায় অবশ্যই কার্যকর করা হবে,ইনশাআল্লাহ।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, শুধু একটি মামলা, একটি বিচার, একটি রায় বাকী আছে সেটি হলো- মূল খুনীর মরণোত্তর বিচার। জিয়াউর রহমান এর মরণোত্তর বিচার এই বাংলার মাটিতে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা ‘৭১ পরবর্তী প্রজন্ম এবং আমার সন্তানদের জন্য সম্পাদন করতেই হবে। আমাদের শপথ একটাই, আমাদের রাজনীতি করার কারণ একটাই- আমি ডাক্তার হয়েও নিজেদের পেশায় চাকরি করি নাই। বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান হিসেবে আমাদের সেই অসমাপ্ত কাজ শেষ করার শপথ নিয়ে রাজনীতির মাঠে পা দিয়েছি। আমাদের দায়িত্ব একটাই এই খুনি পরিবারের মুখোশ খুলে দেওয়া। বঙ্গবন্ধুরকন্যার নেতৃত্বে এই বিচার বাংলার মাটিতে সম্পন্ন করে আমাদের কপালের অভিশাপের কালো দাগ আজন্মের জন্য মুছে ফেলতে চাই।এই আমার শপথ এই আমার অঙ্গীকার।
তিনি আরও বলেন,শেখ হাসিনা আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেই আমি মুরাদ আজ সংসদ সদস্য এবং মন্ত্রীসভার সদস্য হতে পেরেছি, এই বাংলাদেশের যত উন্নয়ন সব শেখ হাসিনার হাত ধরেই।বাংলাদেশ সকল সূচকে যুগান্তকারী মাইলফলক স্পর্শ তো করবেই, কারণ আমাদের প্রধানমন্ত্রীর নাম শেখ হাসিনা।
আজ সরিষাবাড়ি উপজেলাধীন ভাটারা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবগঠিত গভর্নিং বডির পরিচিতি এবং মেধাবী ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুল ড্রেস বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় মোট ২০০ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুল ড্রেস বিতরণ করা হয়েছে।
ভাটারা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরিষাবাড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন পাঠান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সানোয়ার হোসেন বাদশা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিহাব উদ্দিন আহমদ, পৌর মেয়র মনির উদ্দীন, ভাটারা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন বাদল, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য শেখ রাসেল, ভাটারা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ অনেকেই।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী সরিষাবাড়ি পৌরসভা প্রাঙ্গণে সৌর বিদ্যুতায়িত সড়কবাতি স্থাপন প্রকল্পের কাজেরও শুভ উদ্বোধন করেন।