আফগানিস্তানের কাবুলে ভয়াবহ হামলার পর ফের আফগানদের সরিয়ে নেওয়া শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বিমানবন্দরে আরও হামলার তথ্য পেয়েছে পেন্টাগন। এ জন্য তারা সতর্ক রয়েছে। তবে এর শেষ দেখে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ওয়াশিংটন। এদিকে বৃহস্পতিবারের হামলায় নিহতের সংখ্যা ১৭০ ছাড়িয়েছে। আহত অন্তত ২০০, অনেকের অবস্থাই এখনও গুরুতর।
আত্মঘাতী বোমা হামলার পর কাবুল থেকে আফগানদের সরিয়ে নিতে আবারও চালু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান চলাচল। বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) কাবুল বিমানবন্দরে ভয়াবহ ওই বিস্ফোরণের পর নিরাপত্তার কড়াকড়ির কারণে ব্যাহত হয় শরণার্থীদের সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া।
বর্তমানে কাবুল বিমানবন্দরের সবকটি প্রবেশদ্বার ও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট মার্কিন সেনাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর।
পেন্টাগন মুখপাত্র জন কারবি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র পুরো বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে। আইএস একটি ভয়াবহ হুমকি। একে বাড়তে দেওয়া যাবে না। কাবুল বিমানবন্দরের সবকিছু মার্কিন সেনারা দেখভাল করছে। আফগানদের নিরাপদে বিমানবন্দরে পৌঁছানোর জন্য বিভিন্ন উপায়ে তারা কাজ করছে। শরণার্থীদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র কাজ করে যাবে।
এর আগে দুটি বিস্ফোরণের কথা বলা হলেও সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর সংশোধন করে একটি বিস্ফোরণের কথা নিশ্চিত করে।
আফগানিস্তানে ২০১১ সালের পর এক দিনে সর্বোচ্চ মার্কিন সেনা হতাহতের রেকর্ড হয়েছে বৃহস্পতিবার। বিমানবন্দর এলাকায় ওই জঙ্গি হামলার পর ভবিষ্যতে আবারও এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। বোমা হামলার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব জেন সাকিও।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব জেন সাকি বলেন, আমরা তালেবানকে বিশ্বাস করি না। তবে, বাস্তবতাকে অস্বীকার করা যাচ্ছে না। কাবুল বিমানবন্দরে বোমা হামলার সঙ্গে যেই জড়িত থাকুক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
হামলায় জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। এদিকে যারা আফগানিস্তান ছাড়তে পেরেছেন, তাদের মুখে যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস।
তাদের একজন বলেন, বিমানবন্দরে বোমা হামলায় আমাদের অনেকেই মারা গেছেন। কাবুলে আমাদের প্রতিটা দিন খুব অতঙ্কে কেটেছে। আমি সৌভাগ্যবান, এ অবস্থার মধ্যেও যুক্তরাষ্ট্রে আসতে পেরেছি।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, দুই সপ্তাহে এক লাখেরও বেশি মানুষকে আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।