আফগানিস্তানে তালেবানদের উত্থান

আফগানিস্তানের ক্ষমতা থেকে তালেবানকে জোর করে সরানো হয়েছিল ২০০১ সালে। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পরিচালিত এক যুদ্ধের মাধ্যমে তাদের প্রতিহত করা হয়। কিন্তু তালেবান আবার নতুন করে সংগঠিত হয়েছে। ইতিমধ্যে আফগানিস্তানের বিস্তীর্ণ অঞ্চল দখল করে নিয়েছে তারা। আফগান সরকারি বাহিনী তাদের কাছে পরাজিত। তালেবান আফগানিস্তানের সরকারকে ফেলে দিয়ে ক্ষমতা ফিরিয়ে নিয়েছে। কিন্তু এই তালেবান আসলে কারা? কীভাবে এই গোষ্ঠীর উত্থান ঘটে আফগানিস্তানে? আর তাদের সমর্থনের ভিত্তিই বা কী?

দু্ই দশকের এক রক্তাক্ত যুদ্ধের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন চলতি বছরের ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে তাদের সর্বশেষ সেনা প্রত্যাহারের প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখন আফগানিস্তানের চারিদিকে তালেবানের জয়-জয়কার। প্রতিদিনই তারা আফগানিস্তান জুড়ে শহর-বন্দর-গ্রামে হামলা চালায়, দখল করে নেয় আফগান সরকারের সামরিক বাহিনীর ঘাঁটি। কথিত ‘সন্ত্রাসবাদবিরোধী যুদ্ধের’ নামে যুক্তরাষ্ট্র যে তালেবানকে আফগানিস্তানের ক্ষমতা থেকে হটিয়েছিল, এখন তারাই আবার দেশটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। এই তালেবানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি আলোচনা শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালে।

২০২০ সালের ফেব্রুয়ারীতে কাতারের রাজধানী দোহায় দুই পক্ষের মধ্যে যে শান্তি চুক্তি হয়, তার শর্ত ছিল যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে তাদের সৈন্য প্রত্যাহার করবে এবং তালেবানও আর মার্কিন বাহিনীর ওপর কোন হামলা চালাবে না। চুক্তির আরও শর্তের মধ্যে ছিল তালেবান আর আল কায়েদা কিংবা অন্য কোন জঙ্গী সংগঠনকে তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় আশ্রয় দেবে না এবং আফগান শান্তি আলোচনা চালিয়ে যাবে। কিন্তু এই চুক্তির পরবর্তী দিনগুলোতেও তালেবান আফগান নিরাপত্তা বাহিনী এবং বেসামরিক মানুষের বিরুদ্ধে হামলা অব্যাহত রেখেছে। আর এখন যুক্তরাষ্ট্র যখন আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যাচ্ছে, তখন অবিশ্বাস্য দ্রুত গতিতে আফগানিস্তানে তালেবানের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে।

পশতু ভাষায় তালেবান মানে হচ্ছে ‘ছাত্র’। আফগানিস্তান থেকে যখন সোভিয়েত সৈন্যরা পিছু হটলো, তখন ১৯৯০-এর দশকের শুরুতে উত্তর পাকিস্তানে এই তালেবান আন্দোলনের জন্ম। এই আন্দোলনে মূলত পশতুন অর্থাৎ পশতুভাষীদের প্রাধান্য। ধারণা করা হয়, মাদ্রাসাগুলোতে প্রথম এরা সংগঠিত হয়। এই মাদ্রাসাগুলো পরিচালিত হতো সৌদি অর্থে এবং সেখানে খুবই কট্টর সুন্নী মতাদর্শের ইসলামই প্রচার করা হতো।

পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান- এই দুই দেশের সীমান্তের দু’দিকেই আছে বিস্তীর্ণ পশতুন অধ্যূষিত অঞ্চল। তালেবান এসব অঞ্চলে খুব দ্রুতই প্রভাবশালী হয়ে উঠে। তালেবান নেতৃত্ব প্রতিশ্রুতি দেয়, ক্ষমতায় গেলে তারা শান্তি এবং স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনবে এবং কঠোর শরিয়া শাসন জারি করবে।

দক্ষিণ-পশ্চিম আফগানিস্তান থেকে তালেবান খুব দ্রুত তাদের প্রভাব সম্প্রসারিত করে। ১৯৯৫ সালের সেপ্টেম্বরে তারা ইরান সীমান্তবর্তী আফগান প্রদেশ হেরাত দখল করে নেয়। আর এর ঠিক এক বছর পর তারা আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল দখল করে। তারা প্রেসিডেন্ট বুরহানউদ্দীন রাব্বানির সরকারকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করে নিজেদের সরকার প্রতিষ্ঠা করে।

বুরহানউদ্দীন রাব্বানি ছিলেন আফগান মুজাহিদীন বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতাদের একজন। ১৯৮০-র দশকে আফগানিস্তানে সোভিয়েত বাহিনীর বিরুদ্ধে এই আফগান মুজাহিদীনরা প্রতিরোধ সংগঠিত করেছিল। ১৯৯৮ সাল নাগাদ তালেবান আফগানিস্তানের প্রায় ৯০ শতাংশ অঞ্চলে তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে।

সোভিয়েতরা আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যাওয়ার পর মুজাহিদীনদের মধ্যে অর্ন্তদ্বন্দ্ব শুরু হয়। তাদের বাড়াবাড়িও আর লোকে পছন্দ করছিল না। এরকম অবস্থায় তালেবান যখন প্রথম দৃশ্যপটে আসে, তখন আফগানিস্তানের মানুষ সাধারণভাবে তাদের স্বাগত জানিয়েছিল। তালেবানের প্রথম দিকের জনপ্রিয়তার মূলে ছিল কয়েকটি বিষয়- তারা দুর্নীতি দমনে সাফল্যে দেখিয়েছিল, আইন-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনেছিল, তারা তাদের নিয়ন্ত্রিত রাস্তা দিয়ে এবং অঞ্চলে নিরাপদে ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ করে দিয়েছিল। তবে তালেবান একই সঙ্গে তাদের জারি করা কঠোর শরিয়া শাসনের অধীনে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের মতো শাস্তি চালু করে। অপরাধী কিংবা ব্যাভিচারীদের প্রকাশ্যে হত্যা করা হতো, চুরির দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের হাত কেটে নেয়া হতো। আর পুরুষদের দাড়ি রাখা এবং মেয়েদের পুরো শরীর ঢাকা বোরকা পরা বাধ্যতামূলক করা হয়। তালেবান টেলিভিশন, সঙ্গীত এবং সিনেমা নিষিদ্ধ করে। দশ বছরের বেশি বয়সী মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার দরকার নেই বলে নিয়ম জারি করে।

এরপর তালেবানের বিরুদ্ধে বহু ধরণের মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ধ্বংসের অভিযোগ উঠে। তাদের সবচেয়ে ভয়াবহ কাণ্ড ছিল ২০০১ সালে আফগানিস্তানের মধ্যাঞ্চলে বিখ্যাত বামিয়ান বুদ্ধের মূর্তি ধ্বংস করা। এর বিরুদ্ধে তখন আন্তর্জাতিকভাবে নিন্দার ঝড় উঠেছিল।

এরই মধ্যে আলোচনায় আসে পাকিস্তান। অভিযোগ ওঠে পাকিস্তানই তালেবানের নেপথ্যের কারিগর। যদিও পাকিস্তান এই অভিযোগ সবসময় অস্বীকার করেছে। কিন্তু এতে কোন সন্দেহ নেই, শুরুর দিকে যে আফগানরা তালেবান আন্দোলনে যোগ দিয়েছিল, তারা সবাই পাকিস্তানের বিভিন্ন মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেছিল। আর পাকিস্তান ছিল সেই তিনটি দেশের একটি, যারা তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর তালেবানকে অন্য যে দুটি দেশ স্বীকৃতি দেয় তারা ছিল সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত। আর পাকিস্তান তালেবান সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদও করেছিল সবার শেষে। তালেবান পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমের অনেক অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করতো। একবার তারা এমনকি পাকিস্তানকেও অস্থিতিশীল করার হুমকি তৈরি করেছিল।

পাকিস্তানি তালেবান যেসব হামলা চালায়, তার মধ্যে সবচেয়ে কুখ্যাত এবং আন্তর্জাতিকভাবে নিন্দিত ঘটনাটি ঘটে ২০১২ সালের অক্টোবরে। সেদিন পাকিস্তানের মিনগোরা শহরে স্কুলছাত্রী মালালা ইউসুফজাই যখন বাড়ি ফিরছিলেন, তখন তাকে গুলি করে তালেবান জঙ্গীরা। এরপর পেশাওয়ারে এক স্কুলে হামলা চালিয়ে বহু ছাত্রকে হত্যা করে তালেবান। এ ঘটনার পর পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী তালেবানের বিরুদ্ধে এক বিরাট সামরিক অভিযান শুরু করে। এই অভিযানের পর পাকিস্তানি তালেবানের ক্ষমতা এবং প্রভাব ব্যাপকভাবে হ্রাস পায়। এরপর ২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় অন্তত তিনজন গুরুত্বপূর্ণ তালেবান নেতা নিহত হন। এদের মধ্যে তালেবানের নেতা হাকিমউল্লাহ মেহসুদও ছিলেন। ২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় নিহত হন পাকিস্তানি তালেবানের নেতা হাকিমুল্লাহ মেহসুদ।

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে আল কায়েদার হামলার পর সারা বিশ্বের মনোযোগের কেন্দ্রে চলে আসে আফগানিস্তানের তালেবান। এই সন্ত্রাসী হামলার প্রধান সন্দেহভাজন ওসামা বিন লাদেন এবং তার আল কায়েদা আন্দোলনকে তালেবান আশ্রয় দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠে। মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট আফগানিস্তান আক্রমণ করে ২০০১ সালের ৭ অক্টোবর। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই তালেবানের পতন ঘটে। তালেবানের তৎকালীন নেতা মোল্লাহ মোহাম্মদ ওমর, অন্যান্য সিনিয়র নেতা এবং ওসামা বিন লাদেন পালিয়ে যেতে সক্ষম হন, যদিও তাদের ধরতে গোটা বিশ্ব তখন হন্য হয়ে চেষ্টা চালাচ্ছিল।

অনেক সিনিয়র তালেবান নেতা তখন পাকিস্তানের কোয়েটা শহরে আশ্রয় নেন বলে জানা যায়। সেখান থেকে তারা তালেবানকে পরিচালিত করতেন। তবে কোয়েটা-ভিত্তিক এরকম একটি তালেবান নেতৃত্ব বা কোয়েটা শুরার কথা ইসলামাবাদ অস্বীকার করতো।

আফগানিস্তানে বিপুল পরিমাণ বিদেশী সৈন্যের উপস্থিতি সত্ত্বেও তালেবান আবারও সংগঠিত হয়ে ক্রমাগত তাদের শক্তি বাড়িয়েছে, আফগানিস্তানের নানা অঞ্চলে আবার তাদের প্রভাব বিস্তার করেছে। আফগানিস্তানের বিস্তীর্ণ অঞ্চলকে তারা বিপদজনক করে তোলে এবং সহিংসতার মাত্রা এমন পর্যায়ে পৌঁছায়, যা ২০০১ সালের পর আর দেখা যায়নি। কাবুলে তারা বহু হামলা চালিয়েছে এবং ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে তালেবান এমনকি নেটো জোটের ক্যাম্প বাস্টিয়ন ঘাঁটিতেও এক বিরাট দুঃসাহসিক অভিযান চালায়।

২০১৩ সালে আফগানিস্তানে আলোচনার মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠার আশা তৈরি হয়, যখন তালেবান কাতারে একটি অফিস খোলার ঘোষণা দেয়। কিন্তু তারপরও উভয়পক্ষের মধ্যে অবিশ্বাস রয়েই যায় এবং সহিংসতা অব্যাহত থাকে। বছর দুয়েক পরে, ২০১৫ সালের অগাস্ট মাসে তালেবান স্বীকার করে যে তাদের নেতা মোল্লাহ ওমরের মৃত্যুর দু’বছর পর পর্যন্ত এ খবর তারা গোপন রেখেছিল। শারীরিক অসুস্থতার কারণে মোল্লাহ ওমর পাকিস্তানের এক হাসপাতালে মারা গিয়েছিলেন। এরপর তালেবানের নেতৃত্ব নিয়ে অর্ন্তকোন্দল শুরু হয়। তবে ২০১৫ সালের অগাস্টের কিছুদিন পর তালেবান জানায়, তারা মোল্লাহ মনসুর নামে এক নতুন নেতার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। মোল্লাহ মনসুর ছিলেন মোল্লাহ ওমরের ডেপুটি। ঠিক ওই সময়টাতেই তালেবান ২০০১ সালের পরাজয়ের পর প্রথমবারের মতো আফগানিস্তানের এক প্রাদেশিক রাজধানী দখল করে। কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ কুন্দুজ শহরের নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে চলে যায়।

২০১৬ সালের মে মাসে মোল্লাহ মনসুর মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন। তার জায়গায় তালেবানের নতুন নেতা হন মৌলভী হিবাতুল্লাহ আখুন্দযাদা। এখন পর্যন্ত তিনিই তালেবানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নেতা। বহু বছর ধরে সরাসরি আলোচনার পর ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারীতে যুক্তরাষ্ট্র এবং তালেবানের মধ্যে শান্তি চুক্তি হয় এবং এরপর তালেবান যেন তাদের কৌশল কিছুটা পরিবর্তন করেছিল। বড় বড় শহরে এবং সামরিক ঘাঁটির ওপর জটিল হামলার পরিবর্তে তারা টার্গেট করে করে হত্যা করছিল, যা বেসামরিক আফগানদের আতংকিত করে তোলে।

তালেবানের হামলার টার্গেট ছিল সাংবাদিক, বিচারক, শান্তির জন্য আন্দোলনকারী এবং গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা নারীরা। এ থেকে ধারণা পাওয়া যাচ্ছিল যে তালেবান তাদের চরমপন্থী মতাদর্শ পরিবর্তন করেনি, কৌশল বদলেছে মাত্র। কোন আন্তর্জাতিক সমর্থন-সহায়তা ছাড়া আফগান সরকার যে তালেবানের হামলার মুখে ঝুঁকিতে পড়বে, তা নিয়ে আফগান সরকারী কর্মকর্তারা তাদের গভীর উদ্বেগের কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ২০২১ সালের এপ্রিলে ঘোষণা করেন যে সব মার্কিন সেনা ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান ছাড়বে। অর্থাৎ যে দিনটিতে আল-কায়েদার হামলায় নিউইয়র্কে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ধসে পড়েছিল, সেই দিনটির ঠিক দুই দশক পর।

তবে দীর্ঘ দুই দশক ধরে বিশ্বের একমাত্র সুপারপাওয়ারের সঙ্গে লড়াই করে তালেবান শুধু টিকেই থাকেনি, বরং তারা আফগানিস্তানের মসনদে বসেছে। ২০০১ সালে ক্ষমতা থেকে উৎখাতের পর তালেবান বাহিনী এখন সংখ্যার বিচারে সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে আছে বলে মনে করা হয়। নেটোর এক সাম্প্রতিক রিপোর্টে অনুমান করা হয়েছে, তালেবানের ৮৫ হাজার নিয়মিত যোদ্ধা আছে।

অনেকে যা আশংকা করেছিলেন তার চেয়েও অনেক দ্রুত গতিতে তালেবান আফগানিস্তান দখল করেছে। আফগানিস্তানে মার্কিন নেতৃত্বাধীন মিশনের অধিনায়ক জেনারেল অস্টিন মিলার গত জুন মাসেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যে দেশটি এক চরম নৈরাজ্যকর গৃহযুদ্ধের দিকে চলে যেতে পারে। এটি গোটা বিশ্বের জন্যই এক গভীর উদ্বেগের বিষয় হবে বলে জানান তিনি।

ওই মাসেই মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার এক পর্যালোচনায় আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল যে মার্কিন সামরিক বাহিনী প্রত্যাহার করে নেয়ার ছয় মাসের মধ্যেই হয়তো আফগান সরকারের পতন ঘটতে পারে। কিন্তু সে সময়ও লাগেনি। বরং এরই মধ্যে পুরো আফগানিস্তানই এখন তালেবানদের দখলে (শুধু পাঞ্জশের উপত্যকা ছাড়া)।

সূত্র : বিবিসি বাংলা

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ

- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরও

- Advertisement -spot_img