সিআরবি পাহাড়ের শত শত বছরের শিরীষ গাছগুলো এক একটি অক্সিজেন তৈরির কারখানা। সিআরবিতে হাসপাতাল হলে সেই অক্সিজেন কারখানা ধ্বংস হয়ে যাবে। অক্সিজেনের কবর রচনা করে সিআরবিতে হাসপাতাল করতে দেওয়া যাবে না।
আজ বুধবার (২৫ আগস্ট) সিআরবি রক্ষার দাবিতে বন্দরে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি চলাকালে আলোচকবৃন্দ এ কথা বলেন।
বক্তাগণ বলেন, হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠার জন্য ২০১৭ সালে আহূত ইনভাইটেশন ফর বিড (আইএফবি) নোটিশে প্রকল্পের স্থান হিসেবে সিআরবির নাম ছিল না।
বাংলাদেশের সংবিধানের ২৪ নং অনুচ্ছেদে বলা আছে, “বিশেষ শৈল্পিক কিংবা ঐতিহাসিক গুরুত্বসম্পন্ন বা তাৎপর্যমত স্মৃতিনিদর্শন, বস্তু বা স্থানসমূহকে বিকৃতি, বিনাশ বা অপসারণ হইতে রক্ষা করিবার জন্য রাষ্ট্র ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন। এছাড়াও মাস্টার প্ল্যানের আলোকে ২০০৯ সালে সিডিএ কর্তৃক প্রণীত “ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ)” এ সিআরবিকে “সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য” হিসেবে সংরক্ষণের কথা উল্লেখ আছে।
সুতরাং আমাদের বক্তব্য, সিআরবির প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমিত জায়গা ব্যতিরেকে রেলওয়ের মালিকানাধীন বিশাল বিস্তৃত সমতল ভূমির অন্য যেকোন জায়গায় হাসপাতালটি নির্মাণ করা যেতে পারে। আমরা আশা করি, সরকারি জায়গায় যদি কোন বেসরকারি স্থাপনা নির্মাণ করা হয় তা যেন প্রকৃত অর্থেই জনকল্যাণমূলক হয়, মুনাফাভিত্তিক নয়।
গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন নাগরিক সমাজ, চট্টগ্রামের সদস্য সচিব এডভোকেট ইব্রাহীম হোসেন চৌধুরী বাবুল। বিশেষ অতিথি ছিলেন নাগরিক সমাজ, চট্টগ্রামের যুগ্ম সচিব আবৃত্তি শিল্পী রাশেদ হাসান।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক নেতা দেবাশীষ পাল দেবু, বন্দর (সিবিএ)’র সাধারণ সম্পাদক নায়বুল ইসলাম ফটিক, যুবলীগ নেতা সালাউদ্দীন বাবার, জামিল আহমেদ মিলন, মো. সোহেল, এফ এ চৌধুরী বাদল, ফরহাদ আবদুল্লাহ, মো. মিজান, মো. সোহেল রানা, মো. সালাউদ্দিন, রমজান আলী, মো. মনিরুল হক, ছাত্রলীগ নেতা আবু নাছের জুয়েল, মাহামুদুর রহমান বাপ্পী, মো. হানিফ, মো. আরী নূর, মো. সোহেল, মো. মাছুম, হৃদয় কুমার দাশ, মো. রাব্বি, ইমাম হোসেন প্রান্ত, মো. রানা, জয় দাশ প্রমুখ।