বিমানবন্দর থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত নির্মানাধীন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের আওতা থেকে অনেক ইতিহাসের স্মৃতিস্মারক অপরূপ নান্দনিক সৌন্দর্যের টাইগারপাসকে রক্ষার দাবিতে মানবন্ধন চট্টগ্রাম ঐতিহ্য রক্ষা পরিষদ।
বুধবার (২৫ আগস্ট) সকালে নগরীর টাইগারপাস চত্বরে এ মানবন্ধন অনুষ্টিত হয়। এসময় মুষলধারে বৃষ্টি উপেক্ষা করে পরিষদ নেতৃবৃন্দ ছাড়াও দেওয়ানহাট, ধনিয়ালাপাড়া, মুহুরি পাড়া, মিস্ত্রি পাড়া, চৌমুহনী মহল্লার বাসিন্দারাও দলে দলে মানববন্ধনে যোগ দেন।
মানববন্ধনে ঐতিহ্য রক্ষা পরিষদের চেয়ারম্যান সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, শত শত বছরের ঐতিহ্য ধারন করে আছে টাইগারপাস। এটা প্রকৃতির দান। হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করেও এ রকম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কেউ তৈরি করতে পারবে না। অথচ এটি ধ্বংস করতে যারা উঠেপড়ে লেগেছে তারা সরকারি অর্থ অপচয়ের উৎসবে মেতেছে। এই টাইগারপাস রক্ষায় আমরা আবেদন নিবেদন
জানিয়ে এখন রাজপথে হাজির হয়েছি। জনমতকে উপেক্ষা করে টাইগারপাসকে কংক্রিটের জঞ্জালের নিচে ঢেকে না ফেলার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এসময় পরিষদের সদস্য সচিব সাংবাদিক লেখক জসীম চৌধুরী সবুজ বলেন, চট্টগ্রামের সিটি মেয়র টাইগারপাসে ফ্লাইওভার করে অপরূপ সৌন্দর্য নষ্ট না করতে সিডিএকে চিঠি দিয়েছেন। আমাদের বলেছেন, টাইগারপাস রক্ষায় সরকারের উচ্চমহলে তিনি যোগাযোগ করে বিকল্প প্রস্তাব পাঠাচ্ছেন। এ অবস্থায় ফায়ার সার্ভিসের পর থেকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত নির্মানকাজ বন্ধ রাখতে সিডিএ’র প্রতি আহবান জানান তিনি।
মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ডা. মাহফুজুর রহমান বলেন, পরিবেশ প্রকৃতি ধ্বংস করে টাইগারপাসে ফ্লাইওভার না করার দাবিটি আজ চট্টগ্রামবাসীর গনদাবিতে পরিনত হয়েছে। গনদাবিকে উপেক্ষার ফল কখনো শুভ হয় না।
পরিষদের সমন্বয়ক মুজিবুল হক শুক্কুরের সঞ্চালনায়, মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন পরিষদের যুগ্ম সচিব অধ্যাপক মুহম্মদ আমির উদ্দিন, হাসান মারুফ রুমী, সাবেক কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, দৈনিক নয়াবাংলার নির্বাহী সম্পাদক মনজুর এলাহী খোকন, সরোয়ার আমিন বাবু, আবদুস সবুর খান, নাসির উদ্দীন সিদ্দিকী, আবৃত্তিকার দিলরুবা খানম, শহীদুল হক ফারুকী, আহমেদ কবির, জাহেদুল হাসান মামুন, গৌতম কুমার রায়, প্রকৌশলী মঈনুদ্দীন, দীপ্তি দাশ, জসিম উদ্দিন, সরোয়ার আরমান, মুহাম্মদ ইউসুফ ও বাবুল হাসান।