করোনা নিয়ন্ত্রণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োচিত পদক্ষেপের কারণেই জনগনের মাঝে টিকা গ্রহণে উৎসাহ বেড়েছে বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক এবং চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।
আজ রবিবার (২২ আগস্ট) সকালে নগরীর জেনারেল হাসপাতাল এবং মোস্তফা হাকিম টিকা কেন্দ্রে টিকা গ্রহিতাদের মাঝে সুপেয় পানি এবং মাস্ক বিতরণকালে তিনি এ মত প্রকাশ করেন।
এসময় তিনি বলেন, বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। করোনা মহামারির প্রভাবে গোটা বিশ্বের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়লেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাহসী পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশ অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। টিকা প্রদানে প্রধানমন্ত্রীর দ্রুত পদক্ষেপের ফলে বিশ্বের বড় বড় দেশ যখন করোনার টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরুই করতেই পারেনি, সেখানে বাংলাদেশে করোনার টিকা প্রদান কার্যক্রমে একটি বড় ধরনের সক্ষমতার প্রমাণ তৈরি করেছে। আর এসব কারণেই জনগনের মাঝে টিকা গ্রহণে ব্যাপক উৎসাহের সৃষ্টি করেছে যা করোনার সংক্রমণ থেকে দেশের মানুষকে রক্ষা করতে সক্ষম হবে বলে জানান তিনি। তবে টিকা গ্রহণের পরেও মাস্ক পরা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং সামাজিক সংঘবদ্ধতা থেকে দূরে থাকতে না পরলে পূণরায় সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশংকাও প্রকাশ করেন সুজন। তখন জনগনের স্বাস্থ্য নিরাপত্তায় আবারো লকডাউনের মতো কঠিন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে সরকার পিছ পা হবেন না।
তিনি টিকাদান কেন্দ্রের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নিকট সবিনয় অনুরোধ জানান। নচেৎ টিকা গ্রহিতাদের ভিড়ের কারণে করোনা সংক্রমণ বাড়তে পারে বলেও মত প্রকাশ করেন। এছাড়া স্বল্প সময়ের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রশিক্ষিত টিকাদান কর্মী তৈরী করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষন করেন। যাদের মাধ্যমে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিভিন্ন স্পটে স্পটে টিকাদান কর্মকান্ড পরিচালিত করা যাবে। সে লক্ষ্যে এখন থেকেই প্রশিক্ষিত টিকাদান কর্মী তৈরীর অনুরোধ জানান তিনি।
তিনি নগরীর জেনারেল হাসপাতাল এবং মোস্তফা হাকিম টিকা কেন্দ্রে টিকা গ্রহিতাদের সাথে কথা বলেন এবং টিকা কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি টিকা কেন্দ্রে শত শত টিকা গ্রহিতার উপস্থিতি লক্ষ্য করেন। তবে দীর্ঘ লাইনে বয়স্ক ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের টিকা গ্রহণে অসুবিধা এবং অসুস্থ হতে দেখে তাদের জন্য আলাদা লাইন করার অনুরোধ জানান। অথবা সপ্তাহে একদিন বয়স্ক ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের টিকা গ্রহণের জন্য বরাদ্দ রাখার আহবান জানান। তিনি উপস্থিত নারী, পুরুষ টিকা গ্রহিতাদের মাঝে সুপেয় পানি এবং মাস্ক বিতরণ করেন। তিনি টিকা গ্রহীতাদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখারও অনুরোধ জানান।
অন্যান্যদের মাঝে সে সময় উপস্থিত ছিলেন মোস্তফা হাকিম কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলমগীর, জেনারেল হাসপাতাল করোনা ইউনিটের প্রধান ডা. আব্দুর রব মাসুম, নাগরিক উদ্যোগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাজী মো. ইলিয়াছ, আব্দুর রহমান মিয়া, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নুরুল কবির, সাবেক ছাত্রনেতা মহিউদ্দিন শাহ, তারেক হায়দার বাবু, মো. বাবলু, সোলেমান সুমন, মো. ওমর ফারুক, ফয়সাল বিন নিজাম, মনিরুল হক মুন্না, তাইফুল খান, মো. তাজউদ্দিন, তুষার আহমদ, আনন্দ আচার্য্য, তারেক হোসাইন, তানজীব আহসান পাপ্পু, মো. সামীর আকাশ, অসিত দেব, মেহেদী হাসান অনিক, অনিন্দ সেন, আসিফুল ইসলাম, তান্নু দত্ত প্রমূখ।