মহামারি করোনাভাইরাসের তাণ্ডব বিশ্বজুড়ে এখনও অব্যাহত রয়েছে। প্রতিনিয়ত প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটিতে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছেই। তবে সুস্থতার সংখ্যাও বাড়ছে উল্লেখযোগ্যহারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১০ হাজার ৮৭৬ জন। একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ লাখ ২০ হাজার ৮৮৭ জন।
করোনায় আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনা শনাক্ত হয়েছে ২১ কোটি ৮ লাখ ৪৬ হাজার ৭৭৩ জনের। মৃত্যু হয়েছে ৪৪ লাখ ১৭ হাজার ৫০০ জনের। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ১৮ কোটি ৮৭ লাখ ৮২ হাজার ৭২৬ জন।
গত একদিনে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৫৪ হাজার ৯১৭ জন এবং মারা গেছেন ৯৬৭ জন। করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৮২ লাখ ৩১ হাজার ৭৮৭ জন আক্রান্ত এবং ৬ লাখ ৪৩ হাজার ১১২ জন মারা গেছেন।
গত একদিনে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে ইন্দোনেশিয়ায়। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৪৯২ জন এবং নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২২ হাজার ৫৩ জন। এছাড়া দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩৯ লাখ ৩০ হাজার ৩০০ জন এবং মারা গেছে ১ লাখ ২২ হাজার ৬৩৩ জন।
করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৩০ জন এবং নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫ হাজার ৯৯১ জন। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ৪ লাখ ৯৪ হাজার ২১২ জন এবং মারা গেছে ৫ লাখ ৭২ হাজার ৭৩৩ জন।
আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশি দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত একদিনে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৫৯ জন এবং নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭ হাজার ৩১২ জন। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ৩ কোটি ২৩ লাখ ৫৮ হাজার ২১০ জন এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ৩৩ হাজার ৬২২ জন।
এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে এক লাখ ১৩ হাজার ১০৩ জন, রাশিয়ায় এক লাখ ৭৩ হাজার ৭০০ জন, যুক্তরাজ্যে এক লাখ ৩১ হাজার ৩৭৩ জন, ইতালিতে এক লাখ ২৮ হাজার ৬৩৪ জন, তুরস্কে ৫৩ হাজার ৮৯১ জন, স্পেনে ৮৩ হাজার ৪ জন, জার্মানিতে ৯২ হাজার ৪৪৭ জন এবং মেক্সিকোতে ২ লাখ ৫০ হাজার ৪৬৯ জন মারা গেছেন।