সেই ১১ শিক্ষককে অব্যাহতি দিয়েছে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড

সন্তান পরীক্ষার্থী, প্রশ্নপত্র প্রণয়নে যুক্ত ছিলেন বাবা। দীর্ঘ দিনের রীতি ভঙ্গ করে এ ধরণের ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের ১১ জন শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বাতিল করা হয়েছে এ ধরণের ৪শ সেট প্রশ্নপত্রও।

সোমবার (১৬ আগস্ট) অব্যাহতির ঘটনা ঘটলেও মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) বিষয়টি জানাজানি হলে চট্টগ্রামের শিক্ষাঙ্গনগুলোতে তোলপাড় শুরু হয়।

অভিযোগ উঠেছে, নিয়ম ভঙ্গ করে প্রশ্নপত্র তৈরি ও বাতিল করার মধ্যে বোর্ডের কয়েক লাখ টাকা গচ্চা যাচ্ছে। পাশাপাশি নির্ধারিত সময়ে নতুন প্রশ্নপত্র প্রণয়ন নিয়েও সন্দেহ তৈরি হয়েছে।

জানা গেছে, করোনার কারণে ২০২০ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা না হলেও চলতি ২০২১ সালের পরীক্ষাগুলো নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ গত জুলাই থেকে এসএসসি ও এইচএসসি দুই পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড। এইচএসসির প্রশ্নপত্র প্রণয়নের জন্য ১৯৮ জন পেপার সেটার এবং ১১২ জন মডারেটর নিয়োগ দেয়া হয়। নিয়োগকৃতদের মধ্যে রয়েছেন বিভিন্ন কলেজের অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী অধ্যাপক পদমর্যাদার শিক্ষক। ইতোমধ্যে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করে শিক্ষাবোর্ডে জমাও দেন সংশ্লিষ্টরা।

গত সোমবার (১৬ আগস্ট) থেকে প্রণীত প্রশ্নপত্র পরিশোধন কার্যক্রম শুরু করেন। তবে এনিয়ে গত সোমবার সভায় বিষয়টি উত্থাপিত হলে অস্বস্তিতে পড়েন প্রশ্নপত্র প্রণয়নে জড়িতদের অনেকে।

১১ জন মডারেটর জানান, তাদের সন্তান এবার এইচএসসি পরীক্ষার্থী। অব্যাহতি পাওয়া সাতকানিয়া সরকারি কলেজের প্রাণীবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শেখ মুজিবুর রহমান স্বীকার করেন চলতি বছরে তার সন্তান এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে। একইভাবে তার মতো আরও ১০ শিক্ষকের সন্তানও এবার এইচএসসি পরীক্ষার্থী বলে তিনি নিশ্চিত করেন।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রদীপ চক্রবর্তী বলেন, যারা ভুল করে প্রশ্নপত্র প্রণয়নে যুক্ত হয়েছেন। এরই মধ্যে তাদের বাতিল করে নতুন ১১ জনকে নিয়োগ দিয়েছি।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ

- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরও

- Advertisement -spot_img