টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় জামিন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীর। মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ নোমান এ জামিন মঞ্জুর করেন।
আদালতের পল্লবী থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখা থেকে এ তথ্য জানা গেছে। তবে এই মামলায় জামিন পেলেও তার বিরুদ্ধে আরও মামলা থাকায় এখনই তিনি মুক্তি পাচ্ছেন না।
গত ৩ আগস্ট পৃথক চার মামলায় আলোচিত হেলেনা জাহাঙ্গীরের ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। মিরপুর থানায় প্রতারণা মামলা এবং পল্লবী থানায় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় চার দিন করে মোট আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহীনুর রহমান।
আর গুলশান থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় তিন দিন করে ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসি।
এর আগে গত ২৯ জুলাই রাতে হেলেনা জাহাঙ্গীরের বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, ক্যাসিনো খেলার সরঞ্জাম, ওয়াকিটকি ও বিদেশি চাকু উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব। ওইদিন রাতে মিরপুরে হেলেনার জয়যাত্রা ফাউন্ডেশন এবং জয়যাত্রা আইপি টিভি ভবনেও অভিযান চলানো হয়।
পরে আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্যপদ থেকে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে অব্যাহতি দিয়ে আনুষ্ঠানিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, হেলেনা জাহাঙ্গীর আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ছিলেন। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত তার সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড সংগঠনের নীতিবহির্ভূত হওয়ায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্যপদ থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
হেলেনা জাহাঙ্গীর আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ নামে একটি সংগঠন করে আলোচনায় আসেন। আওয়ামী লীগ এ ধরনের সংগঠনকে অনুমোদনহীন ও ভুঁইফোড় বলে উল্লেখ করেছে।