আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেুতমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘১৫ আগস্টে হত্যাকাণ্ড শুধু বঙ্গবন্ধুর পরিবারের উপর নয়, এই হত্যাকাণ্ড বহুকষ্টে অর্জিত মুক্তিযুদ্ধের উপর নৃশংসতম হামলা।’
আজ মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের মুখপাত্র উত্তরণ আয়োজিত ‘শোকাবহ আগস্ট-ইতিহাসের কালো অধ্যায়’ শীর্ষক ওয়েবিনারে তিনি একথা বলেন।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধেই পরিচালিত হয়েছিলো ১৫ আগস্ট হত্যাকান্ড উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশকে নেতৃত্ব শূন্য করতে ১৫ আগস্টের ধারাবাহিকতায় ৩ নভেম্বর কারা অভ্যন্তরে জাতীয় চার নেতা ও ২০০৪ সােেলর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিলো। এ সকল ষড়যন্ত্র অভিন্ন ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা।
আগস্ট হত্যাকান্ডের কুশীলবরা এখনো সক্রিয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, মঞ্চের খুনিরা বিচারের মুখোমুখি হয়েছে, ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়েছে কিন্তু এখনো কয়েকজন বিদেশে পলাতক। তাদেরকে ফিরিয়ে আনার সর্বাত্মক কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।
মঞ্চের খুনিদের পেছনে যারা নেপথ্যে নায়ক, তাদের আজ খুঁজে বের করা দরকার জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ সকল ষড়যন্ত্রকারিদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে তাদের স্বরূপ উন্মোচন করতে হবে আগামী প্রজন্মের জন্য।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি চিরতরে বন্ধ করার জন্য জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা আবশ্যক হয়ে পড়েছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্র, মূল্যবোধ ও আদর্শকে একে একে আক্রমণ করা হচ্ছে। তাই ষড়যন্ত্রের রাজনীতিকে চিরতরে নির্মূল করতে হবে।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, এদেশে যারা রক্তাক্ত আগস্ট ঘটিয়েছিলো এবং এর বেনিফিসিয়ারী ছিলো প্রকৃতির আদালতেই তাদের বিচার সম্পন্ন হয়েছে।
উত্তরণের সম্পাদক ড. নূহ-উল-আলম লেনিনের সভাপতিত্বে ওয়েবিনারে বাংলা একাডেমির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, কথা সাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
পরে ওবায়দুল কাদের বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
এ সময় তিনি বলেন, যারা বঙ্গবন্ধু মুজিবকে ইতিহাস থেকে মুছে দিতে চেয়েছিলো তারাই আজ মুছে যাচ্ছে ইতিহাসের পাতা থেকে।