আগামী ১১ আগস্ট থেকে চলমান বিধিনিষেধ ধাপে ধাপে শিথিল হবে। সেই সঙ্গে দোকানপাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও গণপরিবহণও আস্তে আস্তে চালু হবে। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন আজ রোববার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে করোনা সংক্রমণ কমে এলেও মৃত্যুর হার কমেনি। এরপরেও জীবন-জীবিকার তাগিদে ও অর্থনৈতিক বিষয়টি চিন্তায় রেখে আগামীতে দোকানপাট আস্তে আস্তে খুলে দিতে হবে। কিন্তু সবাই যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।
জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে ফরহাদ হোসেন বলেন, এখন আমরা জনগণের জন্য মাস্ক পরার বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। বর্তমানে গণটিকাদান কর্মসূচি চলছে, তা ১২ আগস্ট পর্যন্ত চলবে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে কর্মজীবী মানুষকে টিকা দেওয়া হবে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, কর্মজীবীদের টিকার আওতায় আনার পরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ধাপে ধাপে সব কিছুই খুলে দেওয়া হবে। সীমিত পরিসরে গণপরিবহণ ও অফিস-আদালত সব কিছুই চালু করা হবে।
ফরহাদ হোসেন বলেন, মানুষকে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে পাড়া ও মহল্লায় কমিটি করে দেওয়া হবে। সামাজিকভাবে মানুষকে সচেতন করতে এ কমিটি কাজ করবে।
নভেল করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বগতি রোধে চলমান বিধিনিষেধ (লকডাউন) আগামী ১০ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে। করোনা পরিস্থিতর অবনতি হওয়ায় গত ২৩ জুলাই থেকে বিধিনিষেধ চলছে। সরকার প্রথমে এটি ‘কঠোরতম লকডাউন’ হিসেবে ঘোষণা দিলেও ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে ১ আগস্ট থেকে পোশাক কারখানাসহ রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানাগুলো খুলে দেয়।
গত ৩ আগস্ট সরকারের এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে দেশে চলমান কঠোর বিধিনিষেধ আরও পাঁচ দিন বাড়িয়ে ১০ আগস্ট পর্যন্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ১১ আগস্ট থেকে রুটেশন পদ্ধতিতে গণপরিবহণ, লঞ্চ ও ট্রেন চলাচল করবে বলেও জানানো হয় ওই বৈঠক থেকে। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও টিকা গ্রহণ সাপেক্ষে দোকানপাট ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় ওই বৈঠকে।