পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, যৌথভাবে করোনার টিকা উৎপাদনের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এখন যেকোনো সময় চীনের সঙ্গে চুক্তি সই করা হবে।
বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দ্রুত যৌথ উৎপাদন শুরু করতে চাই। চীনের সঙ্গে চুক্তি চূড়ান্ত। যেকোনো সময় চুক্তি হবে। এর পরেই ইনসেপটা উৎপাদনে যেতে পারবে। তবে, চুক্তি সইয়ের পরও আট সপ্তাহ সময় লাগবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগামী এক মাসের মধ্যে ১ কোটি ৪ লাখ টিকা আসবে। চলতি মাসের মধ্যেই কোভ্যাক্সের আওতায় সিনোফার্মের ৩৪ লাখ ও অ্যাস্ট্রেজেনেকার ১০ লাখ টিকা আসবে। আগামী সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ফাইজারের ৬০ লাখ টিকা আসবে। আমরা চীন থেকে সিনোফার্মের ৭৫ মিলিয়ন ডোজ টিকার অর্ডার দিয়েছি। এরই মধ্যে ১৫ মিলিয়ন ডোজের মূল্য পরিশোধ করেছি। বাকিটার প্রসেস চলছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, প্রতি সপ্তাহে ১ কোটি টিকা দেওয়ার যে প্রোগ্রাম স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দিয়েছিল, তাতে কিছুটা পরিবর্তন তারা এনেছে। এটা হয়তো কিছুটা এদিক-সেদিক হবে। তবে, সরকারের টিকাদানের লক্ষ্যে কোনো পরিবর্তন আসবে না।
একে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমরা দেশের ৮০ ভাগ মানুষকে টিকা দিতে চাই। প্রতি সপ্তাহে ১ কোটি মানুষকে টিকা দিলে দুই মাসে ৮ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য ছিল সরকারের। তা হয়তো কিছুটা এদিক-সেদিক হতে পারে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী আমাকে বলেছেন, আমাদের হাতে থাকা টিকা থেকে প্রথম ডোজ নেওয়া নাগরিকদের জন্য দ্বিতীয় ডোজ হাতে রেখেই গণটিকা কার্যক্রম চালাতে চাই। টিকা আসবে ও সেটি দেওয়া হতে থাকবে।’
তিনি জানান, ভারত জানিয়েছে, তাদের পরিস্থিতিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তাদের করোনা পরিস্থিতি আরেকটু উন্নতি হলে নয়া দিল্লি থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা আসবে।
রাশিয়ার টিকা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে সে দেশের অফিস-আদালত সব বন্ধ। আমরা আমাদের সব কাগজপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি। অচিরেই সাড়া পাওয়া যাবে।’